সন্তানের পিতৃপরিচয় নিয়ে অবশেষে মুখ খুললেন নুসরত ফাইল চিত্র।
‘আমার ছেলের বাবা জানে বাবা কে’, সদ্যোজাত ঈশানকে নিয়ে মা নুসরত জাহানের তৈরি এই ধোঁয়াশা কেটে গেল বুধবার। কলকাতা পুরসভার ওয়েবসাইটে দেখা গেল, ছেলের নাম ঈশান জে দাশগুপ্ত। বাবার নামের পাশে লেখা দেবাশিস দাশগুপ্ত ওরফে যশ! নীচে মায়ের নামের পাশে নুসরত জাহান রুহি। বোঝা গেল, নুসরত তাঁর ছেলে ঈশানের জন্মের শংসাপত্রের জন্য যে যে তথ্য দিয়েছেন, তাতে বাবার নাম হিসেবে যশের নামই দেওয়া হয়েছে। তা ছাড়া, বাবার পদবীই ছেলের পদবী হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে।
অনলাইনে ‘যশরত’-এর সদ্যোজাতের জন্মের শংসাপত্রের রেজিস্ট্রেশন নম্বর ১৬২৩ বলে পুরসভা জানিয়েছে। আরও জানা গিয়েছে, এ দিন রাত সাড়ে ৯টার পরে পুরসভার স্বাস্থ্য বিভাগ জন্ম শংসাপত্রের ওয়েবসাইট আপডেট করতেই নাকি বেরিয়ে আসে সমস্ত তথ্য।
গত শনিবার যশকে নিয়ে অতিমারির প্রতিষেধক নিতে পুরসভায় এসে মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক চিকিৎসক সুব্রত রায়চৌধুরির থেকে পুত্রের জন্ম শংসাপত্রে বাবার নামের জায়গায় ফাঁকা রাখা নিয়ে আইনি জটিলতার তথ্যও নাকি জেনে নেন নুসরত।
গত এক বছর ধরে সন্তানের পিতৃপরিচয় নিয়ে বহু কটূক্তি, কটাক্ষ, কৌতূহলের মুখোমুখি হতে হয়েছে যশ-নুসরতকে। তারকা যুগল প্রকাশ্যে এ নিয়ে কোনও কথা মুখে আনেননি। বরং, নেটমাধ্যমে নানা ভাবে আকারে-ইঙ্গিতে মান্যতা দিয়েছেন তাঁদের সম্পর্ককে। সেই থেকে দুইয়ে দুইয়ে চার ইতিমধ্যেই করে নিয়েছেন দুই তারকার অনুরাগীরা। তার পরেও নুসরত বা যশের মুখ থেকে সরাসরি কিছু জানতে না পারায় ঈশানের পিতৃপরিচয় নিয়ে দ্বন্দ্ব থেকেই গিয়েছাল।
সম্প্রতি, একটি সালোঁর উদ্বোধনে এসেও একই প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয় সাংসাদ-তারকাকে। সেখানেই তিনি সাফ জানান, ‘ছেলের বাবা জানে বাবা কে’!
১১ সেপ্টেম্বর ফের যশের সঙ্গে কলকাতা পুরসভায় যান নুসরত। মুখ্য পৌর স্বাস্থ্য আধিকারিক সুব্রত রায় চৌধুরীর সঙ্গে দেখা করেন তাঁরা। কলকাতা পুরসভার অন্তর্গত এলাকায় সমস্ত সদ্যোজাতের জন্মের শংসাপত্র পাওয়া যায় এ ঘর থেকেই। নিয়ম অনুযায়ী বাবা অথবা মায়ের নাম এবং জন্মের তারিখ দিলে সব তথ্য পাওয়া যায়। সেখানে ‘একা মা’ হিসেবে শুধু তাঁর নাম নথিভুক্ত করলে শংসাপত্র মিলবে কিনা সে বিষয়েও নাকি খোঁজখবর নেন নুসরত।
নুসরতের অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার খবর প্রকাশ্যে আসার পরেই তাঁর সন্তানের পিতৃপরিচয় সরাসরি অস্বীকার করেন সাংসদ-তারকার একদা ‘সহবাস-সঙ্গী’ নিখিল জৈন। সেই সময়েই তিনি আনন্দবাজার অনলাইনকে জানিয়েছিলেন, গত ছ’মাসেরও বেশি সময় তিনি আর নুসরত বিচ্ছিন্ন। ফলে, এ বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না। এর পর নির্দিষ্ট সময়ে পুত্রসন্তানের জন্ম দেন নুসরত। জন্মের পর নবজাতকের ওজন ছিল ২.৯ কেজি। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে যশ জানিয়েছেন, তিনি এবং নুসরত দু’জনে মিলেই ছেলের নাম রেখেছেন ঈশান। সেই নামের আদ্যক্ষরও ইংরেজি অক্ষর ‘ওয়াই’ দিয়ে শুরু। নামকরণ জানার পরেই ঈশানের মা-বাবা যে ‘যশরত’ সে বিষয়ে অনেকটাই নিশ্চিত হয়ে যান দুই পক্ষের সমস্ত অনুরাগী।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy