Advertisement
E-Paper

জ়ুবিনের আপ্তসহায়কের বাড়িতে তদন্তকারী দলের তল্লাশি, গায়কের মৃত্যুর পর প্রথম মুখ খুললেন সিদ্ধার্থ

জ়ুবিনের মৃত্যুর কারণ খুঁজতে অসম সরকার বিশেষ তদন্তকারী দল তৈরি করেছে। তাদের তরফে সিদ্ধার্থের বাড়িতে তল্লাশিও চালানো হয়। এর পরেই মুখ খোলেন তিনি।

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১০:২৬
জ়ুবিন গার্গ। ছবি: সংগৃহীত।

জ়ুবিন গার্গ। ছবি: সংগৃহীত।

জ়ুবিন গার্গের মৃত্যু এখনও মেনে নিতে পারছেন না তাঁর অনুরাগীরা। কী ভাবে গায়কের এই মর্মান্তিক পরিণতি হল, সেই নিয়েও রয়েছে ধোঁয়াশা। অভিযোগ উঠেছে তাঁর আপ্তসহায়ক সিদ্ধার্থ শর্মার বিরুদ্ধেও। অবশেষে মুখ খুললেন তিনি। দুর্ঘটনার পর প্রথম বিবৃতিতে কী বললেন সিদ্ধার্থ?

জ়ুবিনের মৃত্যুর কারণ খুঁজতে অসম সরকার বিশেষ তদন্তকারী দল তৈরি করেছে। তাদের তরফে সিদ্ধার্থের বাড়িতে তল্লাশিও চালানো হয়। এর পরেই একটি খোলাচিঠি লেখেন তিনি। সেখানে গায়কের আপ্তসহায়কের স্পষ্ট দাবি, জ়ুবিনের প্রায় ৩৮ হাজার রেকর্ড হওয়া গানের স্বত্ব আদতে বিভিন্ন প্রযোজনা সংস্থা ও সঙ্গীত কোম্পানির হাতে। তেমন ভাবেই হয়েছিল চুক্তি।

সিদ্ধার্থ লেখেন, “আমি জ়ুবিনদার জীবনে প্রবেশ করার আগেই তাঁর প্রায় সমস্ত গান তৈরি হয়ে গিয়েছিল। তার মধ্যে বড় বাণিজ্যসফল গানও রয়েছে। তিনি প্রায়ই দুঃখ করতেন। বলতেন যে, কী ভাবে ওই গানগুলি থেকে প্রযোজকেরা বা সঙ্গীত সংস্থাগুলি কোটি কোটি টাকা আয় করছে, কিন্তু তিনি সাধারণ মানের পারিশ্রমিকটুকুই পেয়েছিলেন। ওই সমস্ত সংস্থা থেকে এটা সরাসরি যাচাই করে নেওয়া যেতে পারে।”

সিদ্ধার্থ জানান, ২০২১ সালে জ়ুবিন নাকি নিজের পরের দিকের কিছু গানের স্বত্ব নিজের কাছে রাখতে চেয়েছিলেন। সেই অধিকার স্থাপনের চিন্তা থেকেই তৈরি করেন ‘জ়ুবিন গার্গ মিউজ়িক এলএলপি’। এই ব্যবসায় সিদ্ধার্থ ছিলেন তাঁর সঙ্গী। তিনি বলেন, “ওই সংস্থা মাসিক কয়েক হাজার আয় করেছে এখনও পর্যন্ত। পুরো টাকাটাই সংস্থার অ্যাকাউন্টে রয়েছে, এক টাকাও সেখান থেকে সরানো হয়নি। সংস্থার ৬০ শতাংশের মালিকানা ছিল জ়ুবিনদার, এবং ওঁর পরিবার যাতে সঠিক ভাবে ওই ভাগ পায় সেটা নিশ্চিত করা আমার দায়িত্ব।” এ ছাড়া, গীতিকার ও সুরকার হিসাবে জ়ুবিন যা আয় করতেন সমস্ত লেনদেন তাঁর ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টে সরাসরি হত বলে দাবি সিদ্ধার্থের। সেই টাকা পুরোপুরিই তাঁর স্ত্রী গরিমার হাতে তুলে দেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।

সিদ্ধার্থের বিরুদ্ধে জ়ুবিনের বিশ্বাসভঙ্গের অভিযোগ ওঠে। সেই সঙ্গে বলা হয়, গায়কের টাকাও নাকি নয়ছয় করেছেন তিনি। সমস্ত কটাক্ষের জবাবে সিদ্ধার্থ হলেন, “এই গুঞ্জন একেবারেই ভিত্তিহীন এবং দুঃখজনক। ওঁর মৃত্যুর তদন্তের জন্য তৈরি বিশেষ দলের সঙ্গে সহযোগিতা করেছি এবং ভবিষ্যতেও করব।” সব শেষে জ়ুবিনের অনুরাগীদের কাছে তাঁর অনুরোধ, “দয়া করে শান্তিতে তদন্ত হতে দিন। জ়ুবিনদার প্রতি এটুকু আমাদের কর্তব্য।” গুয়াহাটির দাতালপাড়ায় সিদ্ধার্থের বাড়িতে তল্লাশির পরই এই বিবৃতি দেন তিনি। সূত্রের খবর, সিদ্ধার্থের বাড়ির চত্বরে সকাল সকাল পৌঁছে গেলেও প্রায় ঘণ্টা দুয়েক অপেক্ষার পর তদন্তকারী দলের সদস্যেরা তল্লাশি শুরু করতে পেরেছিলেন।

Zubeen Garg
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy