মঞ্চে তখন ক্যানভাস।
প্রথম পরিচয় ছবিতে। একে অপরকে নামে চেনেন। পরস্পরের সঙ্গে কথাও হয়েছে চ্যাটে। অথচ সামনাসামনি তেমন ভাবে দেখা হয়নি কখনও। প্রায় সাড়ে তিন হাজার বন্ধুর মধ্যে দেখা হওয়া তো মুখের কথা নয়! ভার্চুয়াল দুনিয়ার সেই বন্ধু গ্রুপের নাম ‘চেন্নাই-বেঙ্গলি’। সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইট ফেসবুকে চেন্নাইবাসী বাঙালিদের এই বন্ধুত্বের পাতাটির বয়স প্রায় সাড়ে তিন বছর। সবার সঙ্গে মিলিত হওয়ার প্রয়াসে সম্প্রতি ‘চেন্নাই-বেঙ্গলি’ আয়োজন করে ‘সাগরিকা’ নামের একটি অনুষ্ঠান। একটা গোটা সন্ধে জুড়ে আড্ডা, গান, নাটক, নাচ, খাওয়াদাওয়া। চেন্নাইয়ের উত্তর থেকে দক্ষিণে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে পাঁচ-ছ’টি বাঙালি ক্লাব। তারা সারা বছর বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। তবে, সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটের বন্ধুত্ব যে মোটেও কমজোরি নয়, সেটা প্রমাণ করল ‘চেন্নাই-বেঙ্গলি’।
চেন্নাইতে নতুন আসা বাঙালিদের সাহায্য করার উদ্দেশ্যেই মূলত ফেসবুকে আত্মপ্রকাশ করেছিল এই গ্রুপ। তার পরে সময় এগোনোর সঙ্গে সঙ্গে বেড়েছে তার বন্ধু সংখ্যা। দিনের পর দিন ফেসবুকে আড্ডা দেওয়া বাঙালিদের একত্রিত করতেই এমন উদ্যোগ বলে জানালেন গ্রুপের উদ্ভাবক পুন্ডরিক মাহাতো। বন্ধুদের মধ্য থেকে বেছে নেওয়া শিল্পীদের দিয়েই সাজানো হয় ‘সাগরিকা’। আইটি সেক্টরে কর্মরত বন্ধুরা তৈরি করেছিলেন ব্যান্ড ‘ক্যানভাস’। তাদের অনুষ্ঠানের পাশাপাশি মঞ্চস্থ হয় মনোজ মিত্রের নাটক ‘কাক চরিত্র’। রবীন্দ্রনাথের গানের সঙ্গে পরিবেশিত হয় নৃত্যনাট্য ‘বর্ষামঙ্গল’। ছিল অনলাইন ফোটোগ্রাফি প্রতিযোগিতা। বিষয়: লাইফ ইন এ মেট্রো। বিনোদনের সঙ্গে ছিল খাওয়াদাওয়ার আয়োজন। চেন্নাইয়ের বিভিন্ন বাঙালি রেস্তোরাঁ তাদের খাবারের পসরা সাজিয়েছিল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy