নতুন বছরে নতুন বাড়ি।
আঁতকে উঠলেন? সে না-ই বা কিনলেন আর একটা বাড়ি! পুরনো বাড়িটাই যদি সেজে ওঠে নতুন ভাবে?
সবার আগে চাই নতুন জামা। মানে, পর্দা, বেডকভার, কুশন কভার। স্টকে থাকলে তো কথাই নেই, তা না হলে একটু মিক্স অ্যান্ড ম্যাচ করে কিনে ফেলতে পারেন। ধরা যাক, আপনার ঘরের দেওয়ালটা হলুদ রঙের। পর্দা হোক একটু গাঢ় অথচ উজ্জ্বল রঙের হাইল্যান্ডারস চেক প্রিন্টে। কিংবা সোফার গায়ে চড়ান গাঢ় বাদামী রঙা কভার। উপরের কুশনগুলোর ঢাকনায় থাক না খানিকটা উজ্জ্বল রং আর ফ্লোরাল ডিজাইন! বেডকভারে হাল্কা রং-ই ভাল দেখায় সাধারণত, তবে তাতেও খানিক উজ্জ্বল রঙের ছোঁয়া যেন থাকে।
বছরভরের একঘেয়ে একরঙা দেওয়ালটা নতুন বছরে একটু পাল্টে ফেললে কেমন হয়? ড্রয়িং রুমের একটা দেওয়াল বেছে নিন, যাতে ঘরের আলোটা ঠিক মতো পড়ে। এ বার তার এক ধার দিয়ে গাঢ় রঙের কিছু এঁকে নিতে পারেন। লতানে গাছে ফুলের মোটিফ হোক বা লম্বা স্টিকের গায়ে ঝোলা ঘণ্টা কিংবা এক মুঠো তারা। দেওয়ালটা কিন্তু চোখ টানবেই!
ছোট্ট ছোট্ট মূর্তি বড্ড পছন্দের? গণেশ কিংবা যিশু, ছোট্ট পাখি কিংবা মেয়ের মুখ? ঘরের এক কোণে সাইড টেবিলে একটা বড়সড় পিতলের ট্রে-তে সাজিয়ে ফেলতে পারেন পিতলের মূর্তিগুলো। আর সেগুলোর ঠিক মাঝখানে থাক একটা সুদৃশ্য মোমদানি। মোমের নরম আলোয় মূর্তিগুলোর রূপ খুলবে আরও। অথবা ঠিক মাঝখানটায় রাখতে পারেন সুন্দর একটা ফুলদানিও। তাতে থাক রংবাহারি ফুল।
হিমাচল ট্রিপের সেই র্যাফটিং, বাড়ির পুঁচকের পাঁচ বছরের জন্মদিন, সদলবলে আন্দামানের ছুটি, কিংবা মজাদার সেলফি— খুশিভরা স্মৃতিগুলো ছড়িয়ে থাক এ ঘর-ও ঘরে। দরকার কয়েকটা ভাল ফোটোফ্রেম। আজকাল নানা মাপের কোলাজ বা সিঙ্গল বাহারি সব ফোটোফ্রেম পাওয়া যায়। ড্রয়িংরুমে থাক হইচই আর হুল্লোড়। ছোট্ট ছোট্ট ঘরোয়া খুশি কিংবা পার্সোনাল হ্যাপিনেস ধরা থাক অন্দরের অন্তরে।
বাকি রইল বই। কিছু থাক একটু অন্য রকম শেপের একটা বুক-শেলফে। কিছু শোকেসের নীচের তলায়। আর ইদানীং যে দু’তিনটে পড়ছেন, সেগুলো সেন্টার টেবিল বা সাইড টেবিলে সাজিয়ে রাখুন। রোজকার খবরের কাগজ আর ম্যাগাজিন থাক ঘরের কোণে একটা বেতের ঝুড়িতে।
এ তো গেল নতুন সাজ। পুরনো সাজেই বা নতুনের ছোঁয়া দিতে ক্ষতি কী! শোকেসের আলোটা বদলে একটু কায়দার আলো লাগালেন, একঘেয়ে হলুদের বদলে সাদা আলো আর সঙ্গে খানিক লাল বা নীলের ছোঁয়া। অন্য রকম দেখাবেই সাজানো জিনিসগুলো। ঘরের কোণের পুরনো ল্যাম্পশেডটা নিজেই রং-তুলিতে সাজিয়ে নিতেও পারেন। নতুন কেনার অপশনটা তো রইলই। সে ভাবেই ফুলদানি, ম্যাগাজিন হোল্ডার, বুক-র্যাকের পাশটাতেও আপনার শিল্পকর্ম থাকতেই পারে। ভালই তো দেখাবে!
তা হলে? হল তো?
নতুন বছরে এক্কেবারে নতুন ঘর!
আরও পড়ুন: নববর্ষের অঙ্গীকার—পুরনো পদ নয়কো আর
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy