১১ বছর বয়সি এক শিশুর দাঁতের পরীক্ষা করতে গিয়ে রীতিমতো চমকে গিয়েছেন চিকিৎসকেরা। উপরের পাটির একটি দাঁত তোলাতে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল তাকে। তবে দাঁতের এক্সরে করতে গিয়েই চমকে গেলেন চিকিৎসকেরা। সাধারণত দু’পাটি মিলিয়ে মোট ৩২ টি দাঁত থাকে। তবে শিশুটির রয়েছে ৮১টি দাঁত। ঘটনাটি ঘটেছে ব্রাজ়িলে।
স্বাভাবিকের থেকে অতিরিক্ত দাঁত থাকলে তাকে বলা হয় হইপারডনশিয়া। যাঁদের হইপারডনশিয়া থাকে, তাঁদের সাধারণত একটি বা দু’টি অতিরিক্ত দাঁত থাকে। তবে ডজন ডজন অতিরিক্ত দাঁত থাকার ঘটনা কিন্তু খুবই বিরল। এটি ঘটে ‘ডেন্টাল লামিনা’ নামের এক বিশেষ টিস্যুর অস্বাভাবিক কার্যকলাপের কারণে। এই টিস্যু দাঁত গঠনের ক্ষেত্রে যথেষ্ট ভূমিকা রাখে। চিকিৎসকদের মতে, জিনগত পরিবর্তন, বিকাশজনিত ত্রুটি বা কিছু নির্দিষ্ট সিনড্রোম— যেমন গার্ডনার সিনড্রোম ও ক্লেইডোক্রানিয়াল ডিসপ্লাসিয়ার কারণে এই অতিরিক্ত দাঁত গজাতে পারে। অনেক সময় এই দাঁতগুলি মাড়ির নীচে লুকিয়ে থাকে, আবার কখনও মুখের ভিতরে দেখা যায়।
শিশুটির মাড়ির উপর কিন্তু অতিরিক্ত দাঁতের চিহ্নমাত্র নেই। তাই এ বিষয়ে তার কোনও ধারণাই ছিল না। চিকিৎসকেরা এক্সরে করার পর ধরা পড়েছে তার মাড়ির ঠিক নীচের অংশে থাকে থাকে সাজানো দাঁত। পৃথিবীতে মাত্র ১ থেকে ৩ শতাংশ মানুষের হইপারডনশিয়ার সমস্যা হয়। তবে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই দাঁতের এক্সরে করা না হলে তা ধরা পড়ে না। এই রোগ থাকলে দাঁতের মাড়ি ফুলে যাওয়া, দাঁতে ব্যথা এমনকি সংক্রমণের ঝুঁকিও তৈরি হয়।