অফিসে কাজের চাপে সারা দিন কাটানো কষ্টকর হতে পারে। কিন্তু ক্রমশ তার সঙ্গেই মানিয়ে নিতে হয়। একটানা চেয়ারে বসে কাজ। লক্ষ্যমাত্রা পূরণের চাপে টানা কমম্পিউটারের পর্দায় চোখ নিবিষ্ট থাকে। এই ভাবে সপ্তাহে ৬ দিন ৮ থেকে ১০ ঘণ্টা টেবিল-চেয়ারে বসে কাজের ফলে কর্মজীবন অস্বাস্থ্যকর হয়ে উঠতে পারে। নানা অসুখ হতে পারে। কিন্তু বুদ্ধি করে কয়েকটি কৌশল অভ্যাস করলে অফিসে কাটানো সময়ও স্বাস্থ্যকর হতে পারে।
অলস জীবনযাপনের প্রভাব
২০১৫ সালে ‘পাব মেড’ জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণাপত্র থেকে জানা যাচ্ছে, আলস্য এবং একই জায়গায় দীর্ঘ ক্ষণ বসে থাকার ফলে প্রাপ্তবয়স্কের ক্ষেত্রে দেহে রোগ এবং হাসপাতালে ভর্তি করনোর হার বেড়েছে। ‘অ্যানালস অফ মেডিসিন’-এ প্রকাশিত একটি গবেষণাপত্রে দাবি করা হয়েছে, দীর্ঘ ক্ষণ একই জায়গায় বসে কাজ করার ফলে অনেকের ক্ষেত্রে টাইপ টু ডায়াবিটিসে আক্রান্ত হওয়ার হার বেড়েছে। পাশাপাশি, এই অভ্যাসের ফলে হার্টের স্বাস্থ্যেরও ক্ষতি হতে পারে বলে দাবি করা হয়েছে।
৩ কৌশল
১) অফিসে বা বাড়িতে কাজের ক্ষেত্রে ৩০ মিনিট থেকে ১ ঘণ্টা অন্তর কয়েক মিনিটের বিরতি নেওয়া উচিত। এই সময়ে একটু হেঁটে নেওয়া যায়। হাঁটতে হাঁটতে একটু স্ট্রেচিং করে নিতে পারলে দেহে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি পাবে।
২) অফিসে কাজের চাপে অনেকেই নিয়মিত বাইরের খাবার খেয়ে থাকেন। কেউ কেউ আবার ভরসা করেন অফিস ক্যান্টিনের উপর। কিন্তু দীর্ঘ দিন এই ভাবে বাইরের খাবার খাওয়ার ফলে দেহে পুষ্টি উপাদানের অভাব দেখা দিতে পারে। যার ফলে রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে। তাই সপ্তাহে অন্তত তিন দিন বাড়ি থেকে খাবার নিয়ে যেতে পারলে ভাল হয়।
৩) সারা দিন শরীরকে সুষ্ঠুভাবে সঞ্চালনা করার জন্য জলের প্রয়োজন হয়। কিন্তু অফিসে কাজের চাপে অনেকেই বিষয়টির প্রতি নজর দেন না। পরিবর্তে নরম পানীয় বা চা-কফি পানের পরিমাণ বেড়ে যায়। দেহে জলের অভাব দেখা দিলে ক্লান্তি বাড়ে এবং কাজের প্রতি একাগ্রতা নষ্ট হয়। তাই ইচ্ছে না হলেও কাজের সময় সারা দিন অল্প অল্প করে জল পান করা উচিত।