যাঁরা চায়ের ব্যাপারে শৌখিন, তাঁরা হয়তো এই চা দেখে নাক সিঁটকাতে পারেন। কারণ তাঁদের কাছে ভাল চা মানে দার্জিলিঙ চায়ের সুবাস! সেই চায়েরও নানা রকমফের আছে। দু’টি পাতা একটি কুঁড়ি কেউ রাতে চাঁদের আলোয় তুলে রাখেন। কোনও পাতা আবার তোলা হয় সূর্যাস্তের সময়। সেই চা-পাতা তোলা থেকে শুরু করে তার প্রক্রিয়াকরণের হেরফেরে চায়ের স্বাদও বদলে বদলে যায়। তবে তার বাইরে যাঁরা নানা ধরনের চা চেখে দেখতে চান, তাঁরা শীতে গোলাপ চায়ের স্বাদ নিয়ে দেখতে পারেন।
শীতে বাগানে গোলাপ ফলান অনেকেই। ছাদে বারান্দায় এই সময়টায় নানা রঙের গোলাপ দেখতেও ভাল লাগে। সেই গোলাপ চায়ের পেয়ালায় থাকলেও মন্দ লাগবে না। আর তার উপকারিতাও আছে অনেক।
১. অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর: গোলাপ চায়ে পলিফেনল ফ্ল্যাভোনয়েড এবং ভিটামিন সি এর মতো প্রচুর অ্যান্টি অক্সিড্যান্ট থাকে। এই উপাদানগুলি শরীরকে ফ্রি র্যাডিক্যালস থেকে রক্ষা করে, যা অক্সিডেটিভ স্ট্রেস এবং হৃদরোগ, ক্যানসার বা অন্যান্য কঠিন রোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করতে পারে।
২. হজমশক্তি উন্নত করে: হজম প্রক্রিয়াকে শক্তিশালী করতে সাহায্য করে। গোলাপ চা কোষ্ঠকাঠিন্য, পেট ফাঁপা এবং অ্যাসিডিটির মতো সমস্যা দূর করে হজম সংক্রান্ত অস্বস্তি কমাতে সহায়ক। এটি অন্ত্রে থাকা উপকারী ব্যাক্টেরিয়ার সংখ্যা বৃদ্ধি করতে পারে।
৩. মানসিক চাপ ও উদ্বেগ কমায়: উদ্বেগ বা মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে। মেজাজ সতেজ রাখতে সাহায্য করে এবং ভাল ঘুমও হতে পারে রোজ় টি বা গোলাপ চা খেলে।
৪. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে: গোলাপ চায়ে থাকা ভিটামিন সি এবং অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল উপাদান শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে শক্তিশালী করতে পারে এবং নানা সংক্রমণ থেকে শরীরকে রক্ষা করে।
৫. ঋতুস্রাবের ব্যথা উপশমে সহায়ক: পিরিয়ডের সময় হওয়া ব্যথা এবং অস্বস্তি কমাতে গোলাপ চা উপকারী বলে মনে করা হয়। গবেষণায় দেখা গেছে, এটি ঋতুচলাকালীন হরমোনজনিত শারীরিক ও মানসিক সমস্যা কমাতেও সাহায্য করতে পারে।