পুরোদমে বর্ষা চলছে। সারা দিন ধরে বৃষ্টি। কখনও ঝমঝম, কখনও টিপটিপ। একঘেয়ে মেঘলা আবহাওয়ায় বাড়িতে বসে অলস সময় কাটানো আর অফিসে এসে কাজ করা এক ব্যাপার নয়। এই দ্বিতীয় ঠিকানায় বসে মেঘের দিকে তাকিয়ে ঝিম ধরলে বালিশ টেনে গড়িয়ে নেওয়ার উপায় নেই। বাদলা দিনে যতই ঝিমুনি ধরুক, শেষ পর্যন্ত কাজ শেষ করে বাড়ি ফেরার তাড়া থাকে। কিন্তু কাজই যদি করতে ইচ্ছে না করে, যদি চেষ্টা করেও গা-ঝাড়া দিতেও না পারেন, তা হলে কাজ শেষ হবে কী ভাবে?
সমাজমাধ্যমে এক ফিটনেস প্রশিক্ষক সেই ঝিমুনি কাটানোর উপায় বাতলেছেন। দৃষ্টি ছাবড়িয়া নামের ওই প্রশিক্ষক বলছেন, ‘‘অফিসের ডেস্ক থেকে না সরেই পাঁচটি ব্যায়াম করলে দূর হবে ঝিমুনি। কাজেও চটপটে ভাব আসবে।’’
১। সিটেড লেগ লিফ্ট
চেয়ারে সোজা হয়ে বসে দু’টি সোজা করে সামনের দিকে তুলে মাটির সঙ্গে সমান্তরাল ভাবে রাখুন। মুখে এক থেকে পাঁচ গোনা পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। তার পরে ধীরে ধীরে পা নামিয়ে নিন। এই ভাবে দশ বার করতে পারেন। এতে এক দিকে যেমন শরীরের নীচের পেশির জোড় বাড়বে, তেমনই কাজ করার শক্তিও পাবেন।
২। ডেস্ক পুশ আপ
ডেস্কের সামনে উঠে দাঁড়ান এবার কাঁধ সোজা দুটি হাত পরস্পরের সঙ্গে সমান্তরাল ভাবে রেখে হাতের তালু গুলি ডেস্কের উপর রাখুন। হাতের ভরে বাকি শরীরটাকে একবার ডেস্কের দিকে এগিয়ে আনুন আবার পিছিয়ে যান পুশ আপের ভঙ্গিতেই। অন্তত ১২-১৫ বার এটি করুন।
৩। সিটেড টরসো টুইস্ট
এটি অফিসের রিভলভিং চেয়ারে বসে করার সবচেয়ে ভাল ব্যায়াম। সোজা হয়ে চেয়ারে বসুন। পায়ের পাতা মাটিতে রাখুন। এ বার হাত দুটিকে বুকের কাছে ভাঁজ করে রেখে, পা সোজা রেখে শরীরটাকে এক বার বাঁ দিক আর এক বার ডান দিকে ঘোরান। ঝিমুনি কাটাতে এটি সাহায্য করবে তো বটেই, পাশাপাশি মেরুদণ্ডের নমনীয়তা বজায় রাখতেও সাহায্য করবে। দু দিকে অন্তত দশবার করে করুন ব্যায়ামটি।
৪। নেক রোল
সোজা হয়ে বসুন। মাথা সামনের দিকে ঝুঁকিয়ে ঘাড় ঘোরাতে থাকুন। ডান দিকে পাঁচ বার বাঁ দিকে পাঁচ বার। এটি শরীর এবং স্নায়ুর টেনশন কমাতে সাহায্য করবে।
৫। চেয়ার স্কোয়াট
চেয়ারে সোজা হয়ে বসুন। তার পরে শরীর বিশ্রামের অবস্থায় যাওয়ার আগেই উঠে দাঁড়িয়ে পড়ুন। মুখে এক থেকে পাঁচ গুনুন স্বাভাবিক লয়ে। তার পরে আবার বসে পড়ুন এবং এক থেকে পাঁচ গুণ উঠে দাঁড়ান। এই ভাবে ১০ বার করুন। দেখবেন ঝিমুনি উধাও হয়েছে। আবার ঝটপট কাজ করতে পারছেন।