সিনেমা দেখতে দেখতে কখন ভোরের আলো ফুটেছে খেয়ালই করেননি। কিংবা ফেসবুক স্ক্রল করতে করতেই রাত ৩টে বেজে গিয়েছে। বন্ধুর বাড়িতে আড্ডা— তাতে ঘড়ির দিকে আর কার খেয়াল থাকে। অথবা ফোনে প্রেমিকার সঙ্গে ভোরের আলো ফোটা পর্যন্ত জমিয়ে প্রেম। কোনওটাই দোষের নয়। তবে তার ফল ভুগতে হয় পরের দিন। বিশেষ করে তাঁদের যাঁদের সকাল হলেই বেরিয়ে পরতে হয় অফিসের জন্য। তার পরে সন্ধ্যা পর্যন্ত বাড়ি ফিরে বিছানায় পিঠ ঠেকানোর উপায় নেই। কাজ করতে করতে ঘুমে জড়িয়ে আসে চোখ, মাথা ধরে, কেউ কেউ অসুস্থ বোধও করতে পারেন, রাতে বিশ্রাম না হওয়ার কারণে। এই ধরনের পরিস্থিতিতে পাঁচটি খাবারে আস্থা রাখতে পারেন। যা আপনার সারাদিনের ধকল কাটিয়ে দিনটা সুস্থ ভাবে পার করে দিতে পারবে।
১। জল
সারারাত বিশ্রাম না হলে শরীরে নানারকম সমস্যা হতেই পারে। হতে পারে ডিহাইড্রেশনের সমস্যাও। তাই শরীরকে আর্দ্র রাখা সবার আগে জরুরি। সারা দিনে ঘন ঘন জল খান। কারণ জল শরীরের কর্মক্ষমতা বজায় রাখতে সাহায্য করে।
২। চা-কফি
চা বা কফিতে থাকা ক্যাফিন সাময়িক ভাবে শারীরিক ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে পারে। তবে খুব বেশি ক্যাফিন শরীরের আর্দ্রতা কমিয়ে দিতে পারে। তাই এমন দিনে কফি বা চা খেতেই পারেন। তবে দু’কাপের বেশি নয়।
৩। প্রাতরাশ
সারারাত না ঘুমিয়ে পরের দিন সকালে এমন কোনও খাবার খাবেন না, যাতে চিনি বেশি বা কার্বোহাইড্রেট বেশি। বিশ্রামের অভাবে শরীরে দ্রুত এনার্জি দিতে ওই ধরনের খাবার খাওয়ারই ইচ্ছে হতে পারে বেশি। তবে নিজেকে আটকান। বদলে প্রোটিন বেশি রয়েছে এমন কোনও প্রাতরাশ করুন। যেমন, ডিম, দই ইত্যাদি।
৪। হালকা মধ্যাহ্ণভোজ
ভাত, রুটি, নুড্লসের মতো কার্বোহাইড্রেটের মাত্রা বেশি— এমন খাবার না খাওয়াই ভাল। বদলে স্যালাড অথবা মাছ বা মুরগির মাংস খাওয়া যেতে পারে।
৫। মুখ চালানোর জন্য
বিশ্রামের অভাবে শরীরে দ্রুত শক্তি ক্ষয় হলে মাঝে মধ্যেই খাওয়ার ইচ্ছে হতে পারে। সে ক্ষেত্রে হাতের কাছে নানা রকমের বাদাম বা কুমরোর বীজ, সূর্যমুখীর বীজ ইত্যাদি রাখতে পারেন। এগুলি স্বাস্থ্যকর ফ্যাট এবং প্রোটিন জুগিয়ে শরীরকে শক্তি দেবে।