ডিজিটাল যুগে অতিরিক্ত স্ক্রিন টাইমের প্রভাব পড়ছে শিশুদের চোখেও। মোবাইল, টিভি এমনকি, স্কুলে কম্পিউটারের পর্দায় দীর্ঘ ক্ষণ চোখ রাখছে শিশুরা।
ছোটদের যেখানে দিনে ১ ঘণ্টার বেশি স্ক্রিন টাইম দিতে বারণ করছেন চোখের চিকিৎসকেরা, সেখানে দৈনন্দিন রুটিনের জন্য আকছার বেড়ে যাচ্ছে সেই স্ক্রিন টাইম। ফলে ছোটদের চোখের স্বাস্থ্যে প্রভাব পড়ছে। অল্প বয়সেই চোখের সমস্যায় ভুগছে ছোটরা।
বাবা-মায়েরা অবশ্য এই সমস্যার সমাধান করতে পারেন ছোটদের পাতে প্রয়োজনীয় পুষ্টির জোগান দিয়ে। শিশুদের দৃষ্টিশক্তি উন্নত করতে তাদের খাদ্যতালিকায় কিছু বিশেষ খাবার অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন তাঁরা। ওই খাবারগুলিতে এমন কিছু পুষ্টি উপাদান থাকে যা চোখের স্বাস্থ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
১. ভিটামিন এ সমৃদ্ধ খাবার:
গাজর, মিষ্টি আলু, কুমড়ো, ইত্যাদি। এই সবজিগুলোতে বিটা-ক্যারোটিন থাকে, যা শরীরে ভিটামিন এ-তে রূপান্তরিত হয়। ভিটামিন এ ভালো দৃষ্টিশক্তির জন্য, বিশেষ করে রাতে দেখার জন্য অপরিহার্য। ডিম, দুধ ও দুগ্ধজাত খাবার যেমন পনির, দই ইত্যাদিতেও সরাসরি ভিটামিন এ পাওয়া যায়।
২. ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার:
ভিটামিন সি চোখের রক্তনালীকে সুস্থ রাখতে এবং ছানি পড়ার ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।কমলা লেবু, পেঁপে, স্ট্রবেরি, লেবু, কিউই, ইত্যাদি ফলে ভিটামিন সি থাকে বেশি। এ ছাড়া ক্যাপসিকাম, টমেটো, ব্রোকলিতেও রয়েছে ভিটামিন সি।
৩. ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ খাবার:
তৈলাক্ত মাছ, কাঠবাদাম, আখরোট, তিসির বীজ, চিয়া বীজ, ইত্যাদিতে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে বেশি। যা চোখের রেটিনা সুস্থ রেখে দৃষ্টিশক্তি উন্নত করতে সাহায্য করে।
৪. লুটেইন এবং জিয়াজ্যানথিন সমৃদ্ধ খাবার:
পালং শাক, বাঁধাকপি, ডিমের কুসুম, ভুট্টায় রয়েছে লুটেইন এবং জ়িয়াজ্যানথিন জাতীয় অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট। যা চোখের রেটিনাকে ক্ষতিকর নীল আলো এবং অতিবেগনি রশ্মি থেকে রক্ষা করে।
৫. ভিটামিন ই সমৃদ্ধ খাবার:
কাঠবাদাম, সূর্যমুখীর বীজ, অ্যাভোকাডোতে রয়েছে ভিটামিন ই। যা চোখের কোষগুলিকে ক্ষতির হাত থেকে বাঁচায়।
৬. জিঙ্ক সমৃদ্ধ খাবার:
জিঙ্ক ভিটামিন এ-কে লিভার থেকে রেটিনায় পৌঁছে দিতে সাহায্য করে, যা চোখের স্বাস্থ্য বজায় রাখার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। ডাল, শিম, মটরশুঁটি, কাবলি ছোলা এবং দুগ্ধজাত খাবারে রয়েছে জ়িঙ্ক।
এছাড়াও, পর্যাপ্ত পরিমাণে জল পান করাও চোখের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে।