জানলা দিয়ে বৃষ্টি দেখতে যতই ভাল লাগুক, বর্ষাকালের জল-কাদা, স্যাঁতসেঁতে আবহাওয়া আর প্যাচপেচে গরমের অনেক মন্দ প্রভাবও আছে। যার মধ্যে একটি ব্যাক্টেরিয়ার সংক্রমণ। ব্যাক্টেরিয়ার বাড়বাড়ন্তের আদর্শ সময় হল বর্ষাকাল! আর ঠিক সেই বর্ষায় যে কোনও খাবারদাবার খাওয়ার আগে বাড়তি সতর্ক হওয়া উচিত। তা না হলে খাবারের মাধ্যমে শরীরে ব্যাক্টেরিয়া সংক্রমণ হয়ে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ার ঝুঁকি বাড়বে।
বর্ষাকালে ব্যাক্টেরিয়ার সংক্রমণের নেপথ্যে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ফলমূলের ভূমিকা থাকে। ফল যেহেতু কাঁচা অবস্থাতেই খাওয়া হয়, শাক-সব্জির মতো রান্না করা হয় না, তাই তাতে ব্যাক্টেরিয়া থেকে যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। এক সংক্রামক ব্যাধির চিকিৎসক রেজিনা বার্বা সমাজমাধ্যমে জানাচ্ছেন, বর্ষাকালের স্যাঁতসেঁতে আবহাওয়া ফলে ব্যাক্টেরিয়া, ছত্রাক এবং নানা পরজীবী পোকামাকড় জন্মাতে পারে। যা খাওয়া মাত্রই গ্যাস্ট্রোইন্টেস্টাইনাল ট্র্যাকে সংক্রমণ ছড়াতে পারে। ইকোলাই এবং সালমোনেলা জাতীয় ব্যাক্টেরিয়া থেকে খাদ্যে বিষক্রিয়া, ডায়েরিয়া এমনকি কলেরাও হতে পারে বলে জানাচ্ছেন বার্বা। সেই ঝুঁকি এড়াতে কিছু ফল বর্ষায় এড়িয়ে চলাই ভাল বলে জানাচ্ছেন তিনি।
আনারস
আনারসে ভিটামিন সি, ব্রোমেলাইনের মতো উপকারী উপাদান থাকলেও বর্ষায় আনারস খেলে তা থেকে গলায় অস্বস্তি, সর্দি, ঠান্ডা লাগার মতো সমস্যা হতে পারে।
তরমুজ
তরমুজে জলের মাত্রা অত্যন্ত বেশি। এই ধরনের খাবারে ব্যাক্টেরিয়া সংক্রমণের সুযোগও বেশি। তা ছাড়া আর্দ্র স্যাঁতসেঁতে আবহাওয়ায় তরমুজের মতো রসালো ফলে জারণ প্রক্রিয়াও শুরু হয় দ্রুত। যা পেটের জন্য ক্ষতিকর।
আঙুর
বর্ষায় আঙুরে ছাতা ধরার সম্ভাবনা থাকে। এ ছাড়া আঙুরে নোংরা, কীটনাশকের অনুও থেকে যেতে পারে। তাই বর্ষায় আঙুর খেলে তা খাবার সোডা দিয়ে ধুয়ে খাওয়াই ভাল। তা না হলে তা থেকে পাকস্থলীতে সংক্রমণের আশঙ্কা থাকবে।
আম
গ্রীষ্মের ফল হলেও আম বর্ষাকালে পাওয়া যায়। খাওয়াও হয়। কিন্তু বার্বা বলছেন, আমে শরীর গরম হয়। বর্ষাকালের স্যাঁতসেঁতে আবহাওয়া এবং গুমোট আবহাওয়ায় এটি শারীরিক সমস্যা তৈরি করতে পারে। বেশি খেলে ত্বকেরও সমস্যা দেখা দিতে পারে।
কলা
কলা এমনিতে ক্ষতিকর না হলেও বর্ষায় কলা মজে যায় দ্রুত। এর গন্ধে পোকামাকড় আকৃষ্ট হয়। ব্যাক্টেরিয়ার জন্মের অনুকূল পরিস্থিতি তৈরি হয়। তাই বর্ষাকালে কলা খেলে তা তাজা অবস্থাতেই খাওয়া উচিত।