রাতে ভাল ঘুম না হলে শুধু ক্লান্তি নয়, গাঁটের ব্যথাও বেড়ে যেতে পারে। আবার গাঁটে ব্যথা থাকলে ঘুম ভাল হয় না। এই বিপজ্জনক, যন্ত্রণাদায়ক চক্রের মধ্যে পড়ে গেলে তা থেকে মুক্তি পাওয়া বড়ই কঠিন। হার্ভার্ড মেডিক্যাল স্কুলের জার্নাল ‘হার্ভার্ড হেলথ পাবলিশিং’-এ প্রকাশিত একটি গবেষণাপত্রে দাবি করা হয়, ঘুমের ঘাটতি শরীরে প্রদাহ বাড়ায়, ফলে আর্থ্রাইটিসে আক্রান্তদের ব্যথা আরও তীব্র হয়। ঘুমের অভাবে ব্যথা বেড়ে যায়, আবার ব্যথাও ঘুমে বাধা দেয়। দীর্ঘ দিন এমন চললে অস্থিসন্ধি শক্ত হয়ে যায়, হাঁটাচলার কষ্ট বাড়ে, এমনকি মনমেজাজও খারাপ হতে পারে। প্রদাহ কমানো এবং টিস্যু সারানোর জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমের প্রয়োজন। কিন্তু ঘুম না হলে সেই আরোগ্যের সময় মেলে না শরীরের। তাই ঘুম আর ব্যথা একে অপরের সঙ্গে সম্পর্কিত। এই চক্র না ভাঙলে স্বস্তি পাবেন না রোগীরা। রইল কিছু সমাধান।
ঘুম ও ব্যথার চক্র ভাঙার জন্য বেশ কয়েকটি উপায়ের কথা বলে চিকিৎসা বিজ্ঞান। তা সে ওষুধ হোক বা শরীরচর্চা অথবা জীবনযাপনে পরিবর্তন। গুরুতর পরিস্থিতিতে অস্ত্রোপচারও করা হয়। তবে যাপনে বদল এনে এবং ঘুমের মান উন্নত করে নিজে থেকেই এই চক্র ভাঙতে পারেন যে কেউ। দেখা নেওয়া যাক।
ব্যথা কমানোর জন্য ঘুমের মান উন্নত করা প্রয়োজন। ছবি: সংগৃহীত।
ঘুম ঠিক রাখার কিছু সহজ উপায়
ঘুমের সময় ঠিক রাখুন: প্রতি দিন একই সময়ে শোয়া-ওঠার অভ্যাস রাখলে শরীর নিজের ছন্দে চলতে শেখে।
রাতে বিশ্রামের পরিবেশ তৈরি করুন: শোয়ার আগে মোবাইল বা টিভি বন্ধ করে রাখুন, হালকা গরম জল দিয়ে হাত-পা ধুয়ে নিন, বা কয়েক মিনিট গভীর শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম অভ্যাস করুন।
ঘরে তাপমাত্রা সঠিক রাখুন: ঘর যদি খুব গরম বা অতিরিক্ত ঠান্ডা হয়ে যায়, তা হলে বার বার ঘুমে ব্যাঘাত ঘটার সম্ভাবনা থাকে। তা ছাড়া আলো বা শব্দেও ঘুম ভেঙে যেতে পারে। তাই এই দিকগুলিতে নজর রাখতে হবে।
ক্যাফিন ও ভারী খাবার এড়িয়ে চলুন: রাতে কফি, চা বা ভারী খাবার ঘুমে বিঘ্ন ঘটায়। তাই শোয়ার আগে বুঝেশুনে খেতে হবে।
চিকিৎসকের পরামর্শ নিন: ঘুমের সমস্যা বা ব্যথা যদি দীর্ঘস্থায়ী হয়, চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়াই ভাল।