হাঁচি-কাশি-জ্বর-সর্দি হোক বা পেটের সমস্যা, হজমের সমস্যা, ত্বকে ব্রণ, র্যাশ, ফুস্কুড়ি— এই সব কিছুর জন্য দায়ী দুর্বল রোগ প্রতিরোধ শক্তি। কখনও প্রদাহ বেশি হওয়ার কারণে, কখনও কম হওয়ার কারণে শরীরের রোগ প্রতিরোধ করার ক্ষমতা নষ্ট হয়। শীতে এই সমস্যা আরও বাড়ে। কারণ গ্রীষ্ম প্রধান দেশে ঠান্ডার সঙ্গে যোঝার সহজাত ক্ষমতা শরীরের থাকে না। পাশাপাশি, আবহাওয়ায় যেকোনও বদলই নানা রোগের প্রকোপ বাড়িয়ে তোলে। এমতাবস্থায় রোগ প্রতিরোধ শক্তিই হতে পারে একমাত্র হাতিয়ার। দিল্লির পুষ্টিবিদ এবং ইন্ডিয়ান ডায়েটেটিক্স অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য ভবেশ গুপ্ত জানাচ্ছেন, রাতে ঘুমনোর আগে এক কাপ দুধে যদি কিছু চেনা উপকরণ মিশিয়ে খাওয়া যায়, তবে তা রোগ প্রতিরোধ শক্তি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করবে।
১। জাফরান
জাফরানে রয়েছে জোরালো অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট। রোগ প্রতিরোধ শক্তি বৃদ্ধি করতে কাজে লাগে। হজম শক্তি ভাল রাখতে সাহায্য করে। ঘুমনোর আগে স্নায়ুকে শিথিল করতে সাহায্য করে। ফলে ঘুম ভাল হয়। শরীরের সার্বিক স্বাস্থ্য ভাল থাকে।
২। মধু
ঈষদুষ্ণ দুধে এক চা চামচ মধু মিশিয়ে খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ভাল। বিশেষ করে শীতে মধুর অ্যান্টি ব্যাক্টেরিয়াল উপাদান, নানা রকম সংক্রমণ দূরে রাখতে সাহায্য করে। শরীরে উষ্ণতা জোগাতেও সাহায্য করে। ঘুমও ভাল হয় এই পানীয় খেলে।
৩। কাঠবাদাম
ভেজানো কাঠবাদাম থেঁতো করে বা বেটে নিয়ে তা দুধে মিশিয়ে নিন। কাঠবাদামে থাকা ভিটামিন ই হাড় এবং পেশির স্বাস্থ্য ভাল রাখতে সাহায্য করে। রোগ প্রতিরোধ শক্তি বৃদ্ধিতেও সাহায্য করে।
৪। তুলসী পাতা
দুধে তুলসীপাতা ফুটিয়ে খেলে তা অ্যান্টি-ভাইরালের কাজ করে। ঠান্ডা লাগা এবং সর্দি কাশির সমস্যায় এবং ফুসফুসের স্বাস্থ্য ভাল রাখার জন্য এটি উপযোগী।
৫। হলুদ গোলমরিচ আদা
ভারতীয় সংস্কৃতিতে হলুদ দুধ খাওয়ার চল বহু দিনের। একে বলা হয় গোল্ডেন মিল্ক। রঙে তো বটেই গুণের জন্য ও এই নাম যথাযথ। তবে দুধে শুধু হলুদ না মিশিয়ে তার সঙ্গে মেশাতে হবে গোলমরিচ আর থেঁতো করা আদা। এই পানীয়ের যে প্রদাহনাশক ক্ষমতা আছে, তা বহু রোগকে দূরে রাখার জন্য যথেষ্ট। ফুসফুসে জমা সর্দি থেকে শুরু করে ঠান্ডা লাগা, জ্বর ভাব কমাতে, এমনকি হজমেও সাহায্য করে এই পানীয়।