কাজের সুবিধায় নিত্যনতুন হরেক জিনিস তৈরি হচ্ছে। ব্যবহারের প্রবণতাও বৃদ্ধি পাচ্ছে।কিন্তু সেই সব সামগ্রী নেপথ্য ‘ঘাতক’ হতে পারে জানেন কি!
এমন পাঁচ জিনিস এড়িয়ে চলেন গ্যাস্ট্রোএন্টেরোলজিস্ট সাইপ্রসাদ গিরিশ। মুম্বইয়ের এই চিকিৎসক এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, বিপদের নাম মাইক্রোপ্লাস্টিক। দৈনন্দিন খাবার থেকে পানীয়ে নিঃশব্দেই মিশছে প্লাস্টিকের ক্ষুদ্রকণা, যা থেকে মারাত্মক সব অসুখের প্রবণতা বাড়ছে। পেটের স্বাস্থ্যের জন্যও তা ক্ষতিকর। সাইপ্রসাদের কথায়, ঠিক এই কারণে হেঁশেলে পাঁচ জিনিস এড়িয়ে চলেন তিনি।
আরও পড়ুন:
আলট্রা প্রসেসড ফুড: প্রক্রিয়াজাত খাবারের চল গত কয়েক বছর ধরেই বেড়েছে।এতে নানা রকম রাসায়নিক, রংও মেশানোর অভিযোগও থাকে। প্লাস্টিকের মোড়কে থাকা এই সমস্ত খাবার একেবারেই স্বাস্থ্যকর নয়। এতে পুষ্টিগুণের যেমন অভাব থাকে তেমনই এতে মিশে যায় অতি ক্ষুদ্র প্লাস্টিককণা।
ননস্টিকের বাসন: রান্নায় তেল কমাতে ইদানীং ননস্টিক বাসনের রমরমা। এতে যেমন কম তেলে রাঁধা যায়, তেমন খাবার চট করে পুড়ে যায় না। কিন্তু বিপদ রয়েছে এর আস্তরণে।চিকিৎসকের কথায়, পিএফএ-যুক্ত বাসনের আস্তরণ থেকে পেটের অসুখের ঝুঁকি বাড়ে। হরমোনের ভারসাম্যেও প্রভাব পড়ে। বদলে লোহা বা স্টেনলেস স্টিলের কড়াই ভাল।
প্লাস্টিকের বাসন: ব্যবহারের সুবিধার জন্য কৌটো থেকে বাটি— সবই এখন প্লাস্টিকের। বিশেষত
মাইক্রোঅয়েভ অভেনে প্লাস্টিকের বাটিতে বা পাত্রে খাবার গরম করার প্রবণতা ভীষণ
ক্ষতিকর। তা ছাড়া কালো প্লাস্টিকের কৌটোয় গরম খাবার দেওয়া হয় বহু রেস্তরাঁতেও। প্লাস্টিকের কৌটো বা বাটিতে গরম জিনিস খাওয়া খুব ক্ষতিকর। বদলে স্টেনলেস স্টিল, কাচের পাত্র ব্যবহার করা যায়।
সব্জি কাটার বোর্ড: সব্জি কাটার বোর্ডটি কি প্লাস্টিকের? ক্ষতিকর বলেই সেটিও রান্নাঘর থেকে বাদ দিয়েছেন চিকিৎসক। প্লাস্টিকের ক্ষুদ্র কণা চপিং বোর্ডের মাধ্যমে খাবারে মিশতে পারে। প্রতি দিন সেই খাবার খেলে ক্ষতি অনিবার্য। বদলে কাঠের চপিং বোর্ড ব্যবহার করতে বলছেন তিনি।
বোতল: প্লাস্টিকের বোতল, জগের ব্যবহারই সর্বাধিক। এটিও অত্যন্ত ক্ষতিকর। জলে মিশছে মাইক্রোপ্লাস্টিক, যা পেটের অসুখের কারণ হতে পারে। বদলে স্টিল, কাচের বোতল ব্যবহার করা যায়।