পিনাট হল চিনেবাদাম। আর পিনাট বাটার হল সেই চিনেবাদাম থেকে তৈরি ‘মাখন’। নামে মাখন হলেও স্বাদে সাধারণ মাখনের সঙ্গে আকাশ-পাতাল তফাত পিনাট বাটারের। তবে স্বাস্থ্যের কথা হলে দুধ থেকে তৈরি মাখনকে বলে বলে দশ গোল দেবে চিনেবাদাম থেকে তৈরি পিনাট বাটার।
কতটা স্বাস্থ্যকর? একটি ছোট্ট উদাহরণ দিলে বোঝা যাবে। চিকিৎসকেরা হার্টের রোগীদের যেখানে মাখন খেতে বারণ করেন, সেখানে পিনাট বাটার খাওয়ার ব্যাপারে উৎসাহ দেন। কারণ পিনাট বাটার রক্তে ‘খারাপ’ কোলেস্টেরল বা এলডিএলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। যে এলডিএল হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়িয়ে দিতে পারে। তবে এ ক্ষেত্রে চিনি এবং নুন ছাড়া পিনাট বাটার খাওয়া দরকার। তা নাহলে আখেরে ক্ষতিই হবে।
শুধু হার্টের স্বাস্থ্যই বা কেন, পিনাট বাটার শরীরের আরও নানা উপকার করে। তার কয়েকটি জেনে নেওয়া যাক।
১। পেশি এবং স্নায়ু
পিনাট বাটারে আছে ভরপুর ভিটামিন ই। যে ভিটামিন ই-র অভাবে স্নায়ু এবং পেশির ক্ষতি হতে পারে। পেশি দুর্বল হতে পারে। এমনকি, ভিটামিন ই-র অভাবে শরীরের রোগপ্রতিরোধ শক্তিও নষ্ট হতে পারে। নিয়মিত পিনাটা বাটার খেলে স্নায়ু এবং পেশির স্বাস্থ্য ভাল থাকবে।
২। দৃষ্টি শক্তি
চোখের স্বাস্থ্যের জন্যও ভিটামিন ই অত্যন্ত জরুরি। ভিটামিন ই-র অভাবে দৃষ্টি ঝাপসা হতে পারে। চোখে রক্তনালিকার অস্বাভাবিক বৃদ্ধিও হতে পারে।
৩। হার্টের স্বাস্থ্য
পিনাট বাটার যেমন খারাপ কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে, তেমনই এতে থাকা ম্যাগনেসিয়ামও হার্টের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে সাহায্য করে। এ ছাড়া পিনাট বাটারে থাকা অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টস রেজ়ভেরাট্রল অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমিয়ে হার্ট ভাল রাখে।
৪। ডায়াবিটিস নিয়ন্ত্রণে
ডায়াবিটিসের রোগীদের খাবার বেছে নেওয়ার ক্ষেত্রে গ্লাইসেমিক ইনডেক্সে নজর দিতে বলেন চিকিৎসকেরা। কারণ যে খাবারে গ্লাইসেমিক ইনডেক্স বেশি, সেটি ঝট করে রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। যা ডায়াবিটিসের রোগীদের জন্য ক্ষতিকর। পিনাট বাটারে গ্লাইসেমিক ইনডেক্স কম।
৫। ওজন কমায়
ফাইবার, প্রোটিন এবং স্বাস্থ্যকর ফ্যাট সমৃদ্ধ পিনাট বাটার পেট ভর্তি রাখে দীর্ঘ ক্ষণ। এতে অতিরিক্ত খাওয়ার প্রবণতা কমে। এ ছাড়া গ্লাইসেমিক ইনডেক্স কম হওয়ায় রক্তে শর্করার মাত্রা হঠাৎ বাড়ে না। ফলে শর্করার মাত্রা বাড়লে অতিরিক্ত খাওয়ার ইচ্ছে জাগে না। ফলে ওজন থাকে নিয়ন্ত্রণে।