হার্টের রোগ এখন ঘরে ঘরে। কারও কোলেস্টেরল বেশি তো কারও রক্তচাপ মাত্রাছাড়া। আবার কেউ কেউ নিম্ন রক্তচাপ এবং ট্রাই গ্লিসারাইডের সমস্যাতেও ভোগেন। সবাই যে ওষুধ শুরু করেছেন তা তো নয়। কিন্তু ওষুধ শুরু হওয়ার আগেই যদি বুঝে শুনে খাওয়াদাওয়ায় কিছু বদল আনা যায়, যাতে কোলেস্টেরল, ট্রাইগ্লিসারাইড, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে তা হলে ক্ষতি কী?
ওটস: হার্টের রোগীদের একটি খাবার অবশ্যই নিজের সারা দিনের খাদ্যতালিকায় রাখতে বলছেন চিকিৎসক। তবে তিনি বেশি জোর দিচ্ছেন রোলড ওটসে। তাঁর কথায়, ‘‘মেশিনে কুচনো ওটস বা স্টিল কাট ওটসে ফাইবারের মাত্রা কমে যায়। রোলড ওটস পেশা হয় কাঠের পেষাই যন্ত্রে। তাই ফাইবারের মাত্রা থাকে যথাযথ পরিমাণে। ’’ হার্টের অধিকাংশ রোগের মূলে থাকে কোলেস্টেরল। ওটস সেই কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে।
আখরোট: যাঁরা নিরামিষাশী বা মাছ খান না, তাঁদের শরীরে ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড যায় কম। অথচ হার্ট ভাল রাখার জন্য এই মাইক্রো নিউট্রিয়েন্টসটি অত্যন্ত জরুরি। নিরামিষাশীদের ক্ষেত্রে এই অভাব পূরণ করতে পারে আখরোট। আখরোটে আছে ভরপুর ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড। নিয়মিত ৩-৪টি করে আখরোট খেলেই তা হার্টের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে সাহায্য করবে।
শাকপাতা: পালংশাক, কলমি শাক এবং আরও নানা ধরনের সবুজ শাক পাতায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম, নাইট্রেটস এবং ফোলেট। যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য় করে। যাঁদের উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা রয়েছে বা যাঁদের নিম্ন রক্তচাপের সমস্যা রয়েছে, তাঁদের রক্তচাপের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করবে শাকপাতা।
টম্যাটো: টম্যাটোয় রয়েছে লাইকোপেন নামের জোরালো অ্যান্টি অক্সিড্যান্ট। যা শরীরকে দূষণমুক্ত করে। যা ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখে। হার্টেও রক্ত সঞ্চালনের মাত্রা ঠিক রাখে।
ডাল: যেকোনও ধরনের ডাল বা বিনস, কাবলি ছোলার মতো দানা শস্যে রয়েছে উদ্ভিজ প্রোটিন এবং ফাইবার। যা কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।