চিৎ হয়ে শুলে কী কী উপকার হয়? ছবি: সংগৃহীত
পাশ ফিরে, মুখ গুঁজে— নানা ভাবে ঘুমোতে পারেন যে কেউ। কেউ যে সারা রাত এক ভাবেই ঘুমোন, তাও নয়। তবে এর মধ্যে সবচেয়ে ভাল হল চিৎ হয়ে শোওয়া। এ ভাবে ঘুমোলে বহু সমস্যা কমে। এমনই বলছে হালের গবেষণা।
ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাম্প্রতিক একটি গবেষণা বলছে, চিৎ হয়ে ঘুমোনোর অভ্যাস সবচেয়ে ভাল। ঠিক কোন কোন কারণে চিৎ হয়ে শোওয়া উচিত? রইল তেমনই সাতটি কারণ।
১। গবেষণা বলছে, চিৎ হয়ে শুলে কাঁধ, পিঠ এবং মেরুদণ্ডের আরাম হয়। সবচেয়ে বেশি বিশ্রাম হয় এ ভাবে শুলেই।
২। চিৎ হয়ে ঘুমোলে শ্বাস-প্রশ্বাসের উন্নতি হয়। ফুসফুস ভর্তি করে সহজেই নিঃশ্বাস নেওয়া যায়। এতে ফুসফুসের ক্ষমতা যেমন বাড়ে, তেমনই বাড়ে শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা। তাতে রোগ প্রতিরোধ শক্তি থেকে শুরু করে মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি হয়।
৩। মুখে বয়সের ছাপ পড়া, ত্বক কুঁচকে যাওয়ার অন্যতম কারণ পাশ ফিরে শোওয়া। চিৎ হয়ে শুলে এই সমস্যা অনেকটাই কমে।
৪। সাইনাসের সমস্যা থাকলে সেটিও কমতে থাকে চিৎ হয়ে শুলে। নাক বন্ধ হওয়ার সমস্যাও এর ফলে কিছুটা কমে যায়।
৫। মাথাব্যথা নিয়ে ঘুমোতে যাচ্ছেন? পাশ ফিরে শুলে এই সমস্যা কমতে নাও পারে। কিন্তু চিৎ হয়ে শুলে এই সমস্যা তাড়াতাড়ি কেটে যায়।
৬। চিৎ হয়ে শুলে সূর্যের প্রথম আলো টের পাওয়া যায়। রোদ উঠলে নিজে থেকেই ঘুম ভাঙে। এটি ঘুম থেকে ওঠার সময়টি এগিয়ে নিয়ে আসে। তার ফলে তাড়াতাড়ি ঘুমোতে যাওয়ার অভ্যাসও তৈরি হয়। এতে গ্যাসট্রিক জাতীয় সমস্যা কমে।
৭। কোনও এক দিকে পাশ ফিরে শুলে মুখের সেই দিকে রক্ত জমতে থাকে। ফলে মুখ ফোলা ফোলা দেখতে লাগে। চিৎ হয়ে শুলে এই সমস্যা হয় না। বরং মুখের কিছুটা রোগা লাগে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy