সময়ের অভাবে অনেকেই শরীরচর্চা করতে পারেন না। দৈনন্দিন জীবনের ১০-১২ ঘণ্টা তাঁদের অফিসে বসেই কেটে যায়। ‘ওয়ার্ল্ড হেল্থ অরগানাইজেশন’ (হু) এক জন প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তির ক্ষেত্রে সপ্তাহে অন্তত ৭৫ মিনিট থেকে ১৫০ মিনিট শরীরচর্চার পরামর্শ দিয়েছে। কিন্তু দেখা গিয়েছে, চাকুরীজীবি বা ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত সিংহভাগ ব্যক্তির পক্ষেই এই পরামর্শ মেনে চলা সম্ভব নয়।
আরও পড়ুন:
তবে এই প্রসঙ্গেই বলা দরকার, যাঁরা কাজে ব্যস্ত, এমনকী তাঁরাও অফিসে বসেই কিন্তু শরীরচর্চা করতে পারেন। দিনের মধ্যে ৩ মিনিট সময় বার করতে পারলেই কেল্লাফতে! এমন কয়েকটি ব্যায়াম রয়েছে, যা অফিসের পোশাক পরেই করা সম্ভব। তার জন্য আলাদা কোনও ফিটনেস ম্যাট বা ডাম্বেলের প্রয়োজন নেই। এই ধরনের ব্যায়ামগুলি নিয়মিত করতে পারলে উপকার পাওয়া যায়। এতে একদিকে যেমন দেহের ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে, তেমনই সময়ের সঙ্গে ফিটনেসও বাড়তে থাকে। পাশাপাশি এই ব্যায়ামগুলি দেহের ভারসাম্য এবং ভঙ্গি ঠিক রাখতে সাহায্য করে।
১) কাফ রেইজ় খুবই উপকারী ব্যায়াম। যে কোনও দেওয়াল ধরে দাঁড়াতে হবে। তার পর পায়ের পাতা মাটিতে রেখে গোড়ালি উপরের দিকে তুলতে হবে। এর ফলে হাঁটুর নীচের অংশের পেশি আরও শক্তিশালী হয়।
২) ওয়াল সিটের ক্ষেত্রে একটি দেওয়ালে ঠেস দিয়ে কোমর পর্যন্ত বসার চেষ্টা করতে হবে। কিছুটা চেয়ারে বসার ভঙ্গির মতো।
৩) এক পায়ে ভর দিয়ে দাঁড়িয়েও ফিটনেস উন্নত করা যায়। এই ধরনের অভ্যাসে সারা দেহের ভারসাম্য রক্ষা করা সহজ হয়।
৪) অফিসের সিঁড়িতে কয়েক ধাপ চড়া এবং নামার মাধ্যমে ‘স্টেপ আপ’ অভ্যাস করা যেতে পারে। পায়ের শক্তি বৃদ্ধি করে এই ধরনের ব্যায়াম।
৫) কাজের ফাঁকে কয়েক সেট স্কোয়াট করে নেওয়া যায়। অর্থাৎ ওঠবস করা। এই ব্যায়ামটির মাধ্যমে দেহের নিম্নাঙ্গ আরো সুঠাম হতে পারে।
৬) অফিসে টেবিল চেয়ারে বসেই কোনও ভারী বই বা ব্যাগ হাত দিয়ে মাথার উপরে তুলতে হবে। এই ব্যায়ামটির ফলে হাতের পেশির জোর বৃদ্ধি হয়।
৭) টেবিল চেয়ারে সারা ক্ষণ না বসে থেকে, অফিসে হেঁটে হেঁটে কাজ করার চেষ্টা করা উচিত। তার ফলেও ক্যালোরি ঝরবে। বিশেষ করে কাগজপত্র দেখা বা ফোনে কথা বলার সময়ে হাঁটা অনেকটাই সহজ।