কিছু দিন থেকেই হয়তো লক্ষ্য করছেন, বাড়ির বয়স্ক মানুষটি অল্পেই ক্লান্ত হয়ে পড়ছে। সঙ্গে উচ্চ রক্তচাপও রয়েছে। এ ধরনের সমস্যা পটাশিয়াম-সোডিয়ামের ভারসাম্যহীনতার লক্ষণ হতে পারে। কেবল জল খেলে বা ওআরএস খাওয়ালে এই সমস্যার সমাধান হবে না। তার জন্য জরুরি ‘ইলেকট্রোলাইট ড্রিঙ্ক’। ঘরেই এই পানীয় বানিয়ে দিতে পারেন প্রবীণদের।
পটাশিয়াম, ক্যালশিয়াম এবং ম্যাগনেশিয়ামের মিশ্রণে তৈরি একটি যৌগ হল ইলেকট্রোলাইট, যা জলে সহজেই গুলে যায়। বিভিন্ন খাবার বা পানীয়ের মাধ্যমে শরীর এই যৌগ সংগ্রহ করে। এই তিন খনিজ নিয়েই শরীরের ইলেকট্রোলাইট পরিবার তৈরি হয়। এগুলির কোনও একটির কম বা বেশি হলে, তখন ইলেকট্রোলাইটের ভারসাম্যহীনতা দেখা দেয়। তখন পেশিশক্তি কমতে থাকে, স্নায়বিক সমস্যাও দেখা দিতে পারে। এই উপাদানগুলির অধিক অসামঞ্জস্য হলে, জীবনহানিও ঘটতে পারে।
আরও পড়ুন:
শরীরে ইলেকট্রোলাইটের ভারসাম্য বজায় রাখতে বেশি করে জল খাওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকেরা। সেই সঙ্গে ডাবের জল খেতে বলা হয়। যদি তারতম্য বেশি হয়, তখন ওআরএস খাওয়ানো হয়। বয়স্কদের শরীরে সোডিয়াম-পটাশিয়ামের ঘাটতি বেশি হয়। তাই সে ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে বিশেষ রকম ‘ইলেকট্রোলাইট ড্রিঙ্ক’ যদি খাওয়ানো যায়, তা হলে খনিজ উপাদানগুলির ঘাটতি হবে না।
কী ভাবে বানাবেন ‘ইলেকট্রোলাইট ড্রিঙ্ক’?
দু’কাপ জল আর এক কাপ ডাবের জল মিশিয়ে নিন আগে। এর পর তাতে আধ কাপের মতো কমলালেবুর রস, এক চামচ পাতিলেবুর রস, এক চামচ মুসাম্বির রস, সৈন্ধব লবণ আধ চামচ, মধু ১ থেকে ২ চামচ মিশিয়ে দিন। উপর থেকে পুদিনা পাতা ছড়িয়ে দিন।
এই পানীয় সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিন খেলে শরীরে ইলেকট্রোলাইটের ভারসাম্য নষ্ট হবে না। গরমের দিন আসছে। বাইরে থেকে নরম পানীয় বা রাস্তায় বিক্রি হওয়া ফলের রস, লস্যি, শরবত না খেয়ে এই পানীয় খেলে শরীর ঠান্ডা থাকবে। পেটের সমস্যাও হবে না।
এই প্রতিবেদন সচেতনতার উদ্দেশ্যে লেখা। সকলের শরীর একরকম নয়। অনেকেরই নানা অসুখবিসুখ থাকে। তাই ইলেকট্রোলাইট পানীয় খাওয়ার আগে অবশ্যই চিকিৎসক ও পুষ্টিবিদের পরামর্শ নেওয়া ভাল।