ডায়াবিটিস আছে। তাই পুষ্টিবিদের পরামর্শমতো রোজ হাঁটতে যান। মেপে খাবার খান। চিনির সঙ্গে তো অনেক কাল আগে থেকেই সম্পর্ক ত্যাগ করেছেন। পছন্দের মিষ্টিও খুব একটা খান না। তা সত্ত্বেও রক্ত পরীক্ষা করালে আশানুরূপ ফল মেলে না। কোনও না কোনও ভাবে রক্তে শর্করার মাত্রা বেশিই দেখায়। বজ্রসমান আঁটুনি সত্ত্বেও কোন ফাঁক দিয়ে চিনি গলে রক্তে মিশে যাচ্ছে বলুন তো?
আরও পড়ুন:
১) ময়দাজাত খাবার:
ময়দা দিয়ে তৈরি যে কোনও খাবারই রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে। কারণ, ময়দার গ্লাইসেমিক ইনডেস্ক বেশি। ফাইবার প্রায় নেই বললেই চলে। অতিরিক্ত পাউরুটি, বিস্কুট, পাস্তা, চাউমিন খাওয়ার অভ্যাস থাকলে সচেতন হওয়া প্রয়োজন।
২) ফলের রস:
সময়ের অভাবে ফল কেটে, ধুয়ে রস করে খাওয়া হয় না। বদলে সকালের জলখাবারে বোতলবন্দি ফলের রসই ভরসা। অনেকেই হয়তো জানেন না, এই ধরনের পানীয়ে কিন্তু কৃত্রিম শর্করা মেশানো থাকে, যা নিয়মিত খেলে রক্তে শর্করার পরিমাণ বেড়ে যেতে পারে।
৩) ভাজাভুজি:
বাড়িতে তৈরি লুচি-পরোটা কিংবা দোকান থেকে কেনা তেলেভাজায় গ্লাইসেমিক ইনডেস্ক বেশি। রোজ এই ধরনের খাবার খেলে রক্তে শর্করার পরিমাণ বে়ড়ে যাওয়া স্বাভাবিক। তার সঙ্গে প্রহাদজনিত সমস্যাও বাড়তে পারে এই ধরনের খাবার খেলে।
আরও পড়ুন:
৪) কৃত্রিম স্বাদের ইয়োগার্ট:
টক দই খেতে ভাল লাগে না। তার বদলে কৃত্রিম স্বাদ এবং গন্ধযুক্ত ইয়োগার্ট খেতে পছন্দ করেন অনেকেই। পুষ্টিবিদেরা বলছেন, তাতে হিতে বিপরীত হওয়ার আশঙ্কাই বেশি। কৃত্রিম স্বাদ-গন্ধবিহীন ইয়োগার্ট খেলে তবু এক রকম। কিন্তু স্বাদের চিন্তা করতে গেলে স্বাস্থ্য নিয়ে কপালে ভাঁজ পড়বে।
৫) অ্যালকোহল জাতীয় পানীয়:
রোজ মদ্যপান করেন না। কিন্তু সপ্তাহে এক-আধ বার তো হয়েই যায়। এই অভ্যাসই চুপিসারে রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়িয়ে তুলতে পারে। শুধু কি তা-ই? রোজ মদ খেলে লিভারের কার্যক্ষমতা হ্রাস পায়। বিপাকহার ক্রমশ কমতে থাকে।