Advertisement
E-Paper

দীর্ঘ ক্ষণ প্রস্রাব চেপে রাখেন? নিজের অজান্তেই কত বিপদ ডেকে আনছেন, জানেন?

চিকিৎসকেরা বলছেন, মানবদেহে যে আকারের মূত্রথলি রয়েছে, তার ধারণক্ষমতা খুবই কম। দীর্ঘ ক্ষণ যদি কেউ প্রস্রাব ত্যাগ না করে তা চেপে রাখেন, সে ক্ষেত্রে মূত্রাশয়ের পেশি ক্রমশ দুর্বল হয়ে পড়ে।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ২০:২৩
প্রস্রাব চেপে রাখলে মূত্রাশয়ে সংক্রমণ হতে পারে।

প্রস্রাব চেপে রাখলে মূত্রাশয়ে সংক্রমণ হতে পারে। ছবি: সংগৃহীত।

বাড়ির বাইরে প্রস্রাব ত্যাগ করতে পারবেন না। তাই জল কম খান। অনেকে আবার দীর্ঘ ক্ষণ প্রস্রাব চেপে রাখেন। এই অভ্যাসের ফলে মূত্রনালিতে উপস্থিত ব্যাক্টেরিয়ার পরিমাণ বেড়ে যায়। সে কারণেই মূত্রথলি বা মূত্রনালিতে সংক্রমণজনিত সমস্যা বাড়তে থাকে। চিকিৎসকেরা বলছেন, মানবদেহে যে আকারের মূত্রথলি রয়েছে, তার ধারণক্ষমতা খুবই কম। প্রায় ৪০০ থেকে ৬০০ মিলিমিটার পর্যন্ত মূত্র ধারণ করার ক্ষমতা মূত্রথলির রয়েছে। তবে কেউ যদি দীর্ঘ ক্ষণ প্রস্রাব ত্যাগ না করে তা চেপে রাখেন, সে ক্ষেত্রে মূত্রাশয়ের পেশি ক্রমশ দুর্বল হয়ে পড়ে। সেখান থেকে কী ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে জেনে রাখুন।

১) মূত্রনালি এবং থলির সংক্রমণ:

দীর্ঘ ক্ষণ প্রস্রাব চেপে রাখলে মূত্রনালি এবং মূত্রথলিতে সংক্রমণ হওয়া অস্বাভাবিক নয়। রাস্তাঘাটে সাধারণ শৌচালয় ব্যবহার করা নিয়ে বহু মহিলারই আপত্তি রয়েছে। প্রস্রাব চেপে রাখতেই তাঁরা স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন। ফলে মূত্রথলির মধ্যে ব্যাক্টেরিয়া সংখ্যায় দ্বিগুণ গতিতে বাড়তে থাকে। মূত্রথলি, মূত্রনালি হয়ে সংক্রমণ কিডনি পর্যন্ত ছড়াতে খুব বেশি সময় লাগে না।

২) মূত্রথলির পেশি শিথিল হয়ে পড়ে:

মূত্রাশয় অনেকটা বেলুনের মতো। সেখানে মূত্র জমতে শুরু করলে তা আকারে বড় হয়ে ফুলতে শুরু করে। মূত্রত্যাগ করলে সেটি আবার সঙ্কুচিত হয়ে যায়। ক্রমাগত প্রস্রাব আটকে রাখলে মূত্রাশয় এমন পর্যায়ে পৌঁছোয় যে, তা আর স্বাভাবিক আকারে ফিরতে পারে না। সহজ ভাবে বললে পেশির সঙ্কোচন এবং প্রসারণ ক্ষমতা নষ্ট হয়ে যায়। ফলে প্রস্রাব ধরে রাখতে সমস্যা হয়। হাঁচি, কাশি বা ঝাঁকুনির কারণে মূত্রাশয়ে চাপ পড়লে প্রস্রাব বেরিয়ে আসতে পারে।

৩) কিডনিতে পাথর জমতে পারে:

দীর্ঘ ক্ষণ প্রস্রাব চেপে রাখলে কিডনিতে পাথর জমতে পারে। দীর্ঘ ক্ষণ মূত্রত্যাগ না করলে মূত্রের মাধ্যমে শরীর থেকে বর্জ্য পদার্থগুলি বেরিয়ে যেতে পারে না, দেহের ভিতরেই জমতে শুরু করে। কিডনির ভিতরে বর্জ্য পদার্থ জমে কঠিন হয়ে যায়। কিডনিতে পাথর তৈরি হলে তা থেকে ব্যথা, সংক্রমণ কিংবা রক্তপাতের মতো গুরুতর সমস্যা শুরু হয়। পাথরগুলি খুব বড় হয়ে গেলে অপসারণের জন্য অস্ত্রোপচারও করাতে হতে পারে।

Urinary Tract Infection UTI Urinary Bladder Stone Kidney Disease
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy