ছবি: প্রতীকী
এই বৃষ্টি তো এই খটখটে রোদ। এমন অস্বস্তিকর আবহাওয়ায় রাস্তায় বেরোনো মানেই ঘেমেনেয়ে একসা হওয়া। স্বাস্থ্যের কথা ভেবে রাস্তার ধার থেকে বরফ দেওয়া লেবুর শরবত বা রঙিন পেপসি না খেলেও আইসক্রিমের দিকে নজর থাকে অনেকেরই। বাচ্চা থেকে বয়স্ক, প্রায় সকলেই আইসক্রিম খেতে ভালবাসেন। খাওয়া মাত্রই শরীরের ভিতরে ঠান্ডা স্রোত বয়ে যায়। কিন্তু এই আইসক্রিম খেলে কি শরীর আদৌ ঠান্ডা হয়?
পুষ্টিবিদেরা বলছেন, ঠান্ডায় জমানো আইসক্রিম ঠান্ডা হলেও এই খাবার কিন্তু শরীর ঠান্ডা করতে পারে না। উল্টে আইসক্রিমে থাকা ফুল ফ্যাট দুধ, ক্রিম, শর্করা হজম করা বেশ কষ্টকর। আইসক্রিম তৈরির উপাদানগুলি ভাঙতে গিয়ে যে পরিমাণ তাপ উৎপন্ন হয়, তা শরীরের জন্য মোটেও ভাল নয়। কানাডার মাউন্ট সেন্ট ভিনসেন্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের পুষ্টিবিদ্যার শিক্ষক এবং গবেষক বোধন লুহোভি বলেন, “মূলত ফ্যাটযুক্ত দুধ এবং চিনি, এই দু'টি জিনিস দিয়ে আইসক্রিম তৈরি হয়। পরিপাকের সময়ে ফ্যাট ভাঙতে গেলে শরীরে সবচেয়ে বেশি তাপ উৎপন্ন হয়। চিকিৎসা বিজ্ঞানের পরিভাষায় যাকে 'ডায়েট-ইনডিউস্ড থারমোজেনেসিস' বলা হয়। বিভিন্ন যৌগের মধ্যে ফ্যাটজাতীয় খাবারই ভাঙতে সবচেয়ে বেশি সময় লাগে। আইসক্রিম খাওয়ার পর ঠান্ডার অনুভূতি সাময়িক। হজমের প্রক্রিয়াটি শুরু হলেই ঠান্ডা ভাব চলে যায়। এই আইসক্রিমের ফ্যাট এবং শর্করাই দেহে অতিরিক্ত তাপ উৎপন্ন করে। যা আসলে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে।”
আয়ুর্বেদও কিন্তু সেই একই কথা বলছে। শুধু ঠান্ডা আইসক্রিম নয়, বরফ দেওয়া যে কোনও পানীয়ের ক্ষেত্রেই একই রকম সমস্যা হতে পারে। তাই ঠান্ডা তাপমাত্রার খাবার না খেয়ে শরীরকে ভিতর থেকে ঠান্ডা রাখতে পারে, এমন খাবার খাওয়াই ভাল বলে মনে করছেন তাঁরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy