খাতায় কলমে কাজের সময় নির্দিষ্ট। কিন্তু সেই সময়ে কাজ শেষ হলে তো! কর্পোরেট সেক্টর থেকে বেসরকারি সংস্থায় যাঁদের অফিসে বসে কাজ করতে হয়, তাঁরা অনেকেই কোমর-পিঠের ব্যথায় নাজেহাল।
ব্যায়াম করা, মাঝেমধ্যে উঠে একটু হাঁটার পরামর্শ যতই দেওয়া হোক না কেন, দীর্ঘ সময় যে চেয়ারে বসতে হয় এবং যে টেবিলে কাজ করতে হয়— সেগুলি যদি সামঞ্জস্যপূর্ণ না হয় তা হলে সমস্যা বাড়তে বাধ্য। চিকিৎসকেরা বার বার বলেন, কোমর-পিঠের ব্যথা হতে পারে সঠিক ভঙ্গিতে না বসলেও। বিশেষত সামনে ঝুঁকে বসে যদি অনেকটা সময় দিনের পর দিন কাজ করতে হয়, তা হলে ব্যথা হতেই পারে। সমস্যার সমাধানে, কাজ করার চেয়ারটি নিয়ে ভাবনা জরুরি।
১। অফিসের জন্য বিশেষ ধরনের চেয়ার পাওয়া যায়। যেটি ইচ্ছামতো উচ্চতায় সেট করা যায়। চেয়ার কেনার আগে সেটি আরামদায়ক কি না, কতটা পর্যন্ত উঁচু করা যায় বা নামানো যায় তা দেখে নেওয়া দরকার। অফিসে সাধারণত যে চেয়ারগুলি ব্যবহার হয় সেগুলির উচ্চতা বাড়ানো বা কমানো যায়। অফিসের ক্ষেত্রে চেয়ারের সঠিক উচ্চতা নির্ধারণ জরুরি।
২। বসার সময় মেরুদণ্ড সোজা থাকা জরুরি। খেয়াল রাখতে হবে হাতের ব্যাপারেও। যে টেবিল বা ডেস্কে ল্যাপটপ বা কম্পিউটার রয়েছে, সেই টেবিলেই কনুই থেকে হাতের অগ্রভাগ থাকবে। কনুই টেবিলে রাখা খুব জরুরি। না হলে কাঁধে হাতে ব্যথা হতে পারে। চেয়ার এমন উচ্চতায় রাখতে হবে, যাতে খুব সহজে কনুই টেবিলে রেখে কাজ করা যায়।
৩। বসার সময় পা থাকা দরকার মেঝের সঙ্গে সমান্তরালে। ঊরু থেকে হাঁটু সামনে ঝুঁকে গেলে চলবে না। প্রয়োজনে পা মেঝের সমান্তরালে রাখার জন্য পায়ের নীচে ছোট টুল বা বক্স জাতীয় কিছু রাখা যেতে পারে। পা যেন ঝুলে না থাকে।
৪।বসার চেয়ারে কি পিঠে সহজে ঠেস দেওয়া যায়? না হলে কুশন রেখে বসার ভঙ্গি সহজ করে নিতে পারেন। খেয়াল রাখতে হবে, শিরদাঁড়া যেন সোজা থাকে। ঠেস দেওয়ার সময় হেলে গেলে চলবে না।
৫। কম্পিউটারের স্ক্রিন বা ল্যাপটপটি রাখা দরকার চোখের সমান্তরালে। চোখ থেকে অনেকটা নিচুতে থাকলে ঘাড়ে ব্যথা হবে। সোজা হয়ে বসার পর যাতে সহজে কম্পিউটারে কাজ করা যায়, সেই উচ্চতা নির্ধারণ করা জরুরি। প্রয়োজনে উচ্চতা ঠিক রাখার জন্য ল্যাপটপ স্ট্যান্ড ব্যবহার করতে পারেন।