হোক পয়লা বৈশাখ। দিনটা তো গ্রীষ্মের। চৈত্রসংক্রান্তির রাতের ঝোড়ো হাওয়া চারপাশ কিছুটা ঠান্ডা করলেও বৈশাখের প্রথম দিবসে গরম কমেনি বড় একটা। এর উপর দিনভর যদি বাইরে ঘোরাঘুরি হয়েই থাকে, তবে গরমবোধ মাথাচাড়া দিতে বাধ্য। গলা ভেজাতে কি বারবার লস্যি বা গন্ধরাজের ঘোল খাচ্ছেন? তা কি শরীরের জন্য আদৌ ভাল? পুষ্টিবিদেরা বলছেন গরমে তৃষ্ণা নিবারণের জন্য লস্যি বা দইয়ের ঘোল একাধিকবার খাওয়া যেতেই পারে। তার নানা উপকারও আছে। তবে কয়েকটি বিষয়ে সতর্ক হওয়াও ভাল।
কী কী উপকার?
১। হজমে সহায়ক
যেহেতু লস্যি দই দিয়েই তৈরি, তাই এতে থাকা প্রোবায়োটিক হজমে সাহায্য করবে। পয়লা বৈশাখে একটু রুটিন ভাঙা খাওয়াদাওয়া হয়েই থাকে। প্রোবায়োটিক থাকলে তা থেকে পেট ফাঁপা বা বদহজম হওয়ার সম্ভাবনা কমবে।
২। আর্দ্রতা বজায় রাখে
দইয়ে আছে ইলেকট্রোলাইটস। যা গরমে শরীরের আর্দ্রতা বজায় রাখার জন্য অত্যন্ত জরুরি। লস্যি খেলে শরীরে ইলকট্রোলাইটসের প্রয়োজন মিটবে। শরীর থাকবে আর্দ্র।
৩। হাড়ের জন্য ভাল
দইয়ে আছে ক্যালসিয়াম। তাই লস্যি খেলে তা হাড়ের জোড় এবং ঘনত্ব বৃদ্ধিতে সাহায্য করবে।
৪। রোগ প্রতিরোধ
দইয়ে আছে ভিটামিন ডি। যা শরীরের রোগপ্রতিরোধ শক্তি ভাল রাখার পাশাপাশি, চুল, ত্বক এবং মানসিক স্বাস্থ্য ভাল রাখতেও সাহায্য করে।
৫। ওজন হ্রাসে সহায়ক
যেহেতু দই পেটের স্বাস্থ্য ভাল রাখে, তাই হজমজনিত সমস্যা কম হয়, যা পরোক্ষে সাহায্য করে ওজন কমাতে। যাঁরা ওজন কমানোর চেষ্টা করছেন, তাঁরা স্বচ্ছন্দে খাদ্য তালিকায় লস্যি রাখতে পারেন।
কোন কোন ক্ষেত্রে সতর্ক হবেন?
১। চিনি নয়
লস্যির অর্ধেক গুণই বৃথা যাবে যদি তাতে চিনি মেশানো হয়। চিনি হজনে সাহায্য করার বদলে, হজমের গন্ডগোলের কারণ হতে পারে।
২। নুন নয়
লস্যিতে বেশি নুন খেলেও সমস্যা হতে পারে। যাঁদের ডায়াবিটিস আছে, যাঁদের প্রেসারের সমস্যা বা হার্টের রোগ আছে, তাঁদেরও লস্যি খাওয়ার সময় নুন বাদ দিয়েই খাওয়া ভাল।
৩। অতিরিক্ত নয়
চিনি এবং নুন ছাড়া লস্যি দিনে ২ গ্লাস খাওয়া যেতেই পারে। তবে তার বেশি না খাওয়াই ভাল। অতিরিক্ত লস্যিতে ক্যালোরির পরিমাণও বেশি থাকবে। তাই বেশি খেলে ওজন বৃদ্ধির ঝুঁকি থাকবে।