—প্রতীকী ছবি।
গরমে শরীরের আর্দ্রতা ধরে রাখতে ডাবের জলের কোনও বিকল্প হয় না। সকাল সকাল ঘুম ভাঙলে প্রায় দিনই বাজার থেকে ডাব কিনে আনেন। কিন্তু বেলার দিকে বাজারে ডাব পাওয়া যায় না বলে দুধের সাধ ঘোলে মেটান বোতলবন্দি ডাবের জল খেয়ে। সেই পানীয়ের স্বাদ, গন্ধ, বর্ণ একেবারে আসল ডাবের জলের মতোই। তবে, প্রশ্ন একটা আছে!
ডাব কেটে সেই জল গ্লাসে ঢেলে বেশি ক্ষণ ফেলে রাখা যায় না। অনেকেই মনে করেন, প্রাকৃতিক এই পানীয় বেশি ক্ষণ ফেলে রাখলে তার গুণ নষ্ট হয়ে যায়। তার পর গ্লাস যদি স্টিল, তামা, রুপো কিংবা প্লাস্টিকের হয়, সে ক্ষেত্রে ওই ধাতুর সঙ্গে পানীয়ের মধ্যে থাকা খনিজগুলির বিক্রিয়া হতে পারে। অথচ বোতলবন্দি ডাবের জল তো দীর্ঘ দিন দোকানে পড়ে থাকে। সেই জল খাওয়া কি আদৌ শরীরের পক্ষে ভাল?
পুষ্টিবিদেরা বলছেন, ডাবের জলের মধ্যে প্রাকৃতিক ভাবেই পটাশিয়াম, সোডিয়াম, ক্যালশিয়াম এবং ম্যাগনেশিয়াম রয়েছে। যা শরীর থেকে ঘামের সঙ্গে বেরিয়ে যাওয়া খনিজের ঘাটতি পূরণ করতে সাহায্য করে। গরমকালে শরীরের আর্দ্রতা বজায় রাখতেও এই পানীয়ের জুড়ি মেলা ভার। এ ছাড়াও ডাবের জলে রয়েছে ‘সাইটোকাইনিন’ নামক একটি উপাদান। এই উপাদানটি বয়সের সঙ্গে সঙ্গে ক্যানসারকেও রুখে দিতে পারে বলে শোনা যায়। তার সঙ্গে ডাবের জলে রয়েছে প্রাকৃতিক শর্করা। তাই ডায়াবেটিকদের ক্ষেত্রেও ডাবের জল নিরাপদ।
অন্য দিকে, বোতলবন্দি ডাবের জলের মেয়াদ দীর্ঘায়িত করার জন্য সেই পানীয়টিকে বিভিন্ন প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে যেতে হয়। যার ফলে এই পানীয়ের স্বাদ এবং গুণমান, গাছ থেকে পেড়ে আনা ডাবের চেয়ে অনেক অংশেই আলাদা হয়ে যায়। বোতলবন্দি ডাবের জলে মিষ্টত্ব আনতে বহু সংস্থাই তাদের পানীয়ে কৃত্রিম চিনি দেয়। নানা রকম রাসায়নিকও ব্যবহার করা হয়। যেগুলি শরীরের জন্য একেবারেই ভাল নয়। তা ছাড়া ডাবের জল যে বোতলে রাখা থাকে সেগুলি সাধারণত প্লাস্টিকের হয়। যা শরীর এবং পরিবেশ— দুইয়ের পক্ষেই ক্ষতিকর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy