Advertisement
E-Paper

‘অ্যাসপারগার’স সিনড্রোম’-এ আক্রান্ত বিল গেটস, কী এই রোগ? ক’জন ভারতীয়ের আছে?

‘অ্যাসপারগার’স সিনড্রোম’ কী? এই রোগে বিল গেটস আক্রান্ত বলেই দাবি করেছেন তাঁর মেয়ে। এ দেশেও এমন রোগে ভুগছেন অনেকেই। সচেতনতার অভাবে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই অসুখ চিহ্নিত করা যায় না।

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০৭ মে ২০২৫ ১২:৪৬
Bill Gates daughter reveals that her father diagnosed with Asperger Syndrome

বিরল রোগে ভুগছেন বিল গেটস, জানালেন তাঁর কন্যা। ছবি: সংগৃহীত।

অ্যাসপারগার’স সিনড্রোমে ভুগছেন বিল গেটস, এমনটাই দাবি করেছেন তাঁর মেয়ে ফোব। সম্প্রতি একটি পডকাস্টে ফোব জানিয়েছেন, তাঁর বাবার এমন অসুখের কারণে বহু বার নানা জায়গায় বিড়ম্বনায় পড়তে হয়েছে তাঁদের। কারণ, পারস্পরিক সম্পর্কের ভাল লাগা-খারাপ লাগার দিক আর তা নিয়ে বয়ে চলা জীবন সম্পর্কে বড়ই উদাসীন থাকেন এমন অসুখে ভোগা মানুষজন। বিলও নাকি অনেকটা তেমনই।

নিজের জীবনের অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিয়েছেন ফোব। বলেছেন, “প্রেমিককে বাবার সঙ্গে দেখা করাতে নিয়ে আসার দিনটি ছিল ভয়ঙ্কর। কারণ বাবা ঠিকমতো কথা বলতেই পারেননি। সহজ স্বাভাবিক ভাবে মিশতে পারেননি। ফলে আমাকে অপদস্থ হতে হয়।” অ্যাসপারগার’স সিনড্রোমকে চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় বলা হয় ‘নিউরো-ডেভেলপমেন্টাল কন্ডিশন’। এটি অটিজ়মেরই একটি প্রকার। বর্তমানে অটিজ়ম স্পেকট্রাম ডিজ়অর্ডারের আওতায় এই রোগটিকেও নিয়ে আসা হয়েছে। এই অসুখে ভোগা মানুষজনের চিন্তাভাবনা, বুদ্ধির বিকাশ ব্যতিক্রমী হয়। সমাজে আর পাঁচজনের সঙ্গে মিশতে সমস্যা হয়, মনের ভাব প্রকাশেও তাঁরা স্বচ্ছন্দ নন। কর্ণ জোহরের ‘মাই নেম ইজ় খান’ ছবিতে শাহরুখ খানের অভিনয় করা চরিত্রটিও অ্যাপারগার’স সিনড্রোমে আক্রান্ত ছিল।

২০ থেকে ৩০ বছর বয়সেই রোগের লক্ষণ সবচেয়ে বেশি প্রকাশ পায়। এ দেশে প্রতি ৬৮ জন শিশুর ১ জন এই রোগে আক্রান্ত। সমীক্ষা বলছে, এ দেশে অন্তত ১ কোটির বেশি মানুষ অটিজ়মে আক্রান্ত, যাঁদের অনেকেরই অ্যাপারগার’স সিনড্রোম রয়েছে। এমন হয়তো আরও অনেকেই রয়েছেন, যাঁদের রোগের শনাক্তকরণই হয়নি। ‘পাগল’ বলে দাগিয়ে দেওয়া হয়েছে তাঁদের।

মনোবিদ অনিন্দিতা মুখোপাধ্যায় জানাচ্ছেন, অটিজ়ম স্নায়বিক বৈকল্য। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই তার কারণ খুঁজে পাওয়া যায় না। এর মধ্যে অ্যাপারগার’স সিনড্রোম থাকলে আরও কিছু লক্ষণ দেখা দেয় যেমন, ডাকলে সাড়া না দেওয়া, কথা বলতে সমস্যা, চোখে চোখ রাখতে না পারা, একই কাজ বার বার করতে থাকা। এই অসুখে ভুগলে সামাজিক মেলামেশায় সমস্যা হয়। এমন অনেকে রয়েছেন, যাঁরা বোধগম্য শব্দ উচ্চারণ করতে অবধি পারেন না। সে কারণে মনের ভাব বুঝিয়ে বলতে পারেন না। অনেকেই আত্মকেন্দ্রিক হন, একা থাকতেই পছন্দ করেন। আবার অনেকে স্বাধীন বা একক ভাবে জীবনযাপন করতে পারে না। তাদের জন্য প্রয়োজন হয় প্রায় সারা জীবনের সহায়তা। এই অসুখ সম্পর্কে সচেতনতা বাড়ানো প্রয়োজন বলেই মনে করেন মনোবিদ। ছোট থেকে যদি লক্ষণ বোঝা যায়, তা হলে দেরি না করে কাউন্সেলিং শুরু করে দিতে হবে।

Autism Spectrum Disorder Mental disease
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy