অক্ষয় কুমারের স্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রা বহু মানুষকে অনুপ্রাণিত করে। অভিনেতা রোজ ভোর ৪টের সময় ঘুম থেকে ওঠেন। নিয়মিত শরীরচর্চা করেন। গত ২০ বছর তিনি নুন ছাড়া খাবার খান। সম্প্রতি অক্ষয় তাঁর ডায়েটের নতুন একটি আঙ্গিক নিয়ে কথা বলেছেন।
কী জানিয়েছেন অক্ষয়
অক্ষয় জানিয়েছেন, তিনি সোমবার ২৪ ঘণ্টা উপোস করে থাকেন। কোনও খাবার খান না। নিজের ডায়েট প্রসঙ্গে অক্ষয় বলেছেন, ‘‘সোমবার আমি সারা দিন উপোস করি। রবিবার রাতে শেষ খাবার খাই। তার পর আবার মঙ্গলবার সকালে খাবার খাই।’’
উপোসের উপকারিতা
সপ্তাহের ৭ দিনই শরীরকে চালনার জন্য শক্তির প্রয়োজন। দেহ সেই শক্তি মূলত বিভিন্ন খাবার থেকে সংগ্রহ করে। কিন্তু প্রতি দিনের রুটিনের মাঝে কখনও কখনও উপোস করা শরীরের পক্ষে ভাল। পুষ্টিবিদ শম্পা চক্রবর্তী বললেন, ‘‘যাঁরা ওজন কমাতে চাইছেন, তাঁদের ক্ষেত্রে সপ্তাহে এক দিন উপোস করলে উপকার পাওয়া সম্ভব।’’ আবার যাঁরা শরীর ডিটক্স করতে চাইছেন, তাঁদের ক্ষেত্রেও উপোস উপকারী। কিন্তু উপোস নির্জলা না করাই ভাল বলে জানালেন তিনি। কারণ মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা বজায় রাখার জন্য ন্যূনতম শক্তির (শর্করা) প্রয়োজন হয়।
আরও পড়ুন:
উপোস এবং তরল খাবার
উপোসের সময় কোনও শক্ত খাবার না খেলেও নির্দিষ্ট সময়ান্তরে তরল খাবার খাওয়া যেতে পারে। শম্পা জানালেন, ফলের রস, ডাবের জল, কোনও শরবত বা দইয়ের ঘোল শরীরের প্রয়োজনীয় শক্তির জোগান দেয়। অথচ খুব বেশি ক্যালোরি শরীরে প্রবেশ করে না। শম্পার কথায়, ‘‘নিদেনপক্ষে নুন চিনির শরবত বা গুড় ভেজানো জল খেলেও শরীরে জলের অভাব ঘটবে না।’’
উপোসের সময় তরল খাবারে যেন চিনি না থাকে, সে দিকে খেয়াল রাখা উচিত। শম্পা বললেন, ‘‘ফলের আঁশ- সহ যদি রস করে খাওয়া যায়, তা হলে দেহে ফাইবারের ঘাটতিও মিটবে। পরের দিন কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা তৈরি হবে না।’’
সতর্কতা
পুজোর সময়ে অনেকে আচার এবং রীতিনীতি মেনে নির্জলা উপোস করেন। কিন্তু অন্য সময়ে নির্জলা উপোস করলে ক্ষতি বেশি হতে পারে বলেই জানালেন শম্পা। বললেন, ‘‘মনে রাখতে হবে, আমরা প্রত্যেকেই দিনে ৮ থেকে ১০ ঘণ্টা (ঘুমোনোর সময়) উপোস করেই থাকি। তাই হঠাৎ করে নিয়মিত উপোস শুরু করলে কারও কারও সমস্যা হতে পারে।’’
শম্পার মতে, অক্ষয় রবিবার রাত থেকে খাবার খান না। অর্থাৎ ২৪ নয়, অভিনেতা প্রায় ৩২ ঘণ্টা উপোস করেন। অনেকের ক্ষেত্রে হঠাৎ করে এই ধরনের রুটিনে ক্ষতি হতে পারে। দীর্ঘ সময় উপোস করলে দেহে ইউরিক অ্যাসিড এবং ক্রিয়েটিনিনের মাত্রা বেড়ে যায়। শম্পা জানালেন, উপোস করলেও দিনে যেন ৮০০ থেকে ৯০০ ক্যালোরি খাবার খাওয়া হয়, সে দিকে নজর দেওয়া উচিত।