স্মৃতিশক্তি কী ভাবে বাড়ানো যায় তার কৌশল সকলের ক্ষেত্রে সমান নয়। স্মৃতিশক্তি কারও জোরালো, কারও বা দুর্বল। কারও ভুলে যাওয়ার সমস্যা সাময়িক, কারও আবার স্মৃতির পাতাই ঝাপসা হয়ে যাচ্ছে দিনের পর দিন। ছোটদের ক্ষেত্রে বিষয়টি আলাদা। সব বাবা-মা চান, সন্তান পড়াশোনায় তুখোড় হবে, মনোযোগীও হবে। সে জন্য এখন ননা রকম ব্রেন গেম বেরিয়ে গিয়েছে। তবে সন্তানের বুদ্ধিতে শান দিতে হলে ও একাগ্রতা বৃদ্ধি করতে হলে, যোগাসনের কয়েকটি আসনই যথেষ্ট। রাতারাতি স্মৃতি বাড়ানোর পন্থা বাতলে দেওয়া কোনও ভাবেই সম্ভব নয়। তবে তিন রকম যোগাসন নিয়মিত অভ্যাস করতে পারলে, এক মাসের মধ্যেই তফাত বুঝতে পারবেন।
সাধারণত পাঁচ বছর বয়সের মধ্যেই শিশুর মস্তিষ্কের প্রায় সার্বিক গঠন ও বিকাশ হয়। এই বয়স থেকেই সহজ কিছু আসন অভ্যাস করানো যেতে পারে।
বালাসন
শিশুরা এই আসন সহজে অভ্যাস করতে পারে। অনেকে এই ভঙ্গিকে ‘হ্যাপি বেবি পোজ়’ নামেও চেনেন। প্রথমে ম্যাটের উপর সোজা হয়ে শুয়ে পড়তে হবে। এ বার দু’টি পা বুকের কাছাকাছি নিয়ে আসতে হবে। পিঠ যেন মাটিতে ঠেকে থাকে। এ বার দু’হাত দিয়ে দু’পায়ের পাতা ধরতে হবে। শ্বাসপ্রশ্বাস স্বাভাবিক থাকবে। কোমরের অংশ থেকে দু’হাতে পায়ের পাতা ধরে রেখেই ধীরে ধীরে কোমরের অংশ থেকে এক বার বাঁ দিকে, এক বার ডান দিকে নিয়ে যেতে হবে। অনেকটা শিশুর দোল খাওয়ার মতো। এই আসন অভ্যাস করলে শরীরের সমস্ত পেশি নমনীয় হবে এবং মনঃসংযোগও বাড়বে।
বীরভদ্রাসন
প্রথমে দুই পা দু’দিকে পর্যাপ্ত ব্যবধানে রেখে সোজা হয়ে দাঁড়াতে হবে। এ বার দু’হাত কান বরাবর উপরের দিকে তুলে নমস্কারের ভঙ্গি করতে হবে। এর পর কোমর থেকে দেহের উপরিভাগ এক দিকে ঘুরিয়ে নিতে হবে। সেই পাশের হাঁটু ধীরে ধীরে ভাঁজ করে পিছনের পা ও শরীর সোজা রেখে উপরের দিকে তাকাতে হবে। ওই ভঙ্গিতে থাকতে হবে ২০-৩০ সেকেন্ড।
ভুজঙ্গাসন
মাটির দিকে মুখ করে শুয়ে পড়তে হবে। এ বার কাঁধের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে, শরীরের দু’পাশে দুটি হাত রাখতে হবে। এ বার হাতে ভর দিয়ে দেহের উপরিভাগ তুলতে হবে। কিন্তু কোমর থেকে পায়ের অংশ মাটির সঙ্গে ঠেকে থাকবে। এই অবস্থানে ৩০ সেকেন্ড থাকতে হবে। ৩ থেকে ৪ বার অভ্যাস করতে হবে এই আসন।