সকালের খাবার খাওয়ার নিয়মকানুন। ছবি: সংগৃহীত।
সকালের দিকে মহিলাদের হাজার কাজ থাকে। অফিসে আসার তাড়া তো থাকেই, সেই সঙ্গে খুদের স্কুলের টিফিন বানানো, বাড়ির কিছু টুকটাক কাজ তো আছেই। এত কিছু একসঙ্গে করে সকালের খাবার খাওয়ার সময় পান না অনেকেই। খালি পেটেই চলে আসতে হয় অফিসে। অফিসে পৌঁছেও গুচ্ছের কাজ সামলে যখন খানিকটা সময় পাওয়া যায়, তখন সকালের খাবার খাওয়ার সময় পেরিয়ে গিয়েছে। দীর্ঘ দিন এই রুটিনে চললে দুর্বল হয়ে পড়া অস্বাভাবিক নয়। পুষ্টিবিদদের মতে, সকালে সামান্য হলেও কিছু খাবার খেতে হবে। দিনের শুরুর খাবার না খাওয়ার অভ্যাসে রোগবালাই বাসা বাঁধে শরীরে। তবে অনেক সময়ে খাওয়াদাওয়া করেও দুর্বল লাগে। তাই সকালের খাবার খাওয়ার ক্ষেত্রে কিছু বিষয় মাথায় রাখা জরুরি।
১) সকালের খাবারে প্রোটিন বেশি থাকা স্বাস্থ্যের জন্য ভাল। তাই সকালের খাবারে সব সময়ে চেষ্টা করুন প্রোটিনের পরিমাণ বেশি রাখতে। বিশেষ করে ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে চাইলে সকাল শুরু করা উচিত প্রোটিনে সমৃদ্ধ খাবার দিয়ে। দীর্ঘ ক্ষণ পেট ভর্তি থাকে। ফলে বার বার খিদে পায় না।
২) সকালের দিকে অনেকের বেশি খেতে ইচ্ছা করে না। কিন্তু অভ্যাস বদলানো জরুরি। সকালে পেট ভরে খেলে বিপাক হার বাড়ে। ফলে শরীর পুষ্টি পায়। সারা দিন চনমনে থাকে শরীর। উপরন্তু ওজন বৃদ্ধির আশঙ্কা কম থাকে।
৩) যতই ব্যস্ততা থাকুক, সকালের খাবার বাদ দেওয়া একেবারেই চলবে না। অনেকে ওজন কমানোর জন্য সকালের খাবার বাদ দিয়ে দেন। তাতে আসলে আরও ক্ষতি হয়। এই ধরনের অভ্যাসে গ্যাস-অম্বলের সমস্যাও দেখা দিতে পারে। শুধু ছিপছিপে থাকা নয়, নিয়মিত সকালের খাবার খাওয়ার অভ্যাসে ভিতর থেকে সুস্থ থাকে শরীর।
৪) সকালে উঠেই বাইরের, প্রক্রিয়াজাত খাবার না খাওয়াই ভাল। পিৎজ়া, প্যাকেটবন্দি নুডলস্ কিংবা প্যাকেটে ভরা ফলের রস এ সময়ে এড়িয়ে চলা জরুরি। দিন শুরু করুন ঘরের রান্না করা খাবার দিয়ে। তা হলে সারা দিন চনমনে থাকবে মন এবং শরীর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy