বেশি মাছ, মাংস খেলে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা বেড়ে যায়? ছবি: সংগৃহীত।
শারীরবৃত্তীয় কাজকর্ম সঠিক ভাবে পরিচালনা করতে হলে প্রোটিন খাওয়া প্রয়োজন। ওজন ঝরাতে, পেশির গঠনে প্রোটিনের যথেষ্ট ভূমিকা রয়েছে। তাই তরুণ প্রজন্মের মধ্যে ইদানীং কার্বোহাইড্রেট বাদ দিয়ে প্রোটিনজাতীয় খাবার খাওয়ার প্রবণতা বাড়ছে। তবে অনেকেই বলেন, বেশি প্রোটিন খেলে নাকি কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা বাড়ে! এ কথা কি আদৌ ঠিক?
নেটপ্রভাবী এবং পুষ্টিবিদ পূজা ভাবে বলছেন, প্রোটিনের সঙ্গে সরাসরি কোষ্ঠকাঠিন্যের কোনও যোগ নেই। তবে বেশি করে প্রোটিন খেতে গিয়ে যদি ফাইবারের অভাব হয়, তা হলে মুশকিল। ডায়েটে শুধু মাছ, মাংস, ডিম কিংবা দুধ রাখলে তো শরীরে ফাইবারের অভাব হতেই পারে। তাই প্রোটিনের পাশাপাশি ফল, সব্জি, বাদাম, বীজ এবং দানাশস্য জাতীয় খাবার খাওয়ার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। এই ধরনের খাবার কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।
কার শরীরে কতটুকু প্রোটিন প্রয়োজন?
পুষ্টিবিদেরা বলছেন, শারীরবৃত্তীয় কাজকর্ম সঠিক ভাবে পরিচালনা করার জন্য প্রয়োজনীয় মোট ক্যাালোরির ১৫ থেকে ২০ শতাংশ প্রোটিন থেকে পেলেই হল। প্রোটিনের চাহিদা পূরণ করতে ডিম, মাছ, দুধ খাওয়া যেতেই পারে। তবে যাঁরা আমিষ খাবার খান না, তাঁদের প্রোটিনের ঘাটতি পূরণ করা বেশ কঠিন। উদ্ভিজ্জ প্রোটিন শরীরের জন্য ভাল। তবে আমিষ খাবারে যে পরিমাণ অ্যামাইনো অ্যাসিড থাকে, তা নিরামিষ খাবারে থাকে না। যাঁরা শরীরচর্চা করেন, তাঁদের প্রোটিন প্রয়োজন। তবে, কার শরীরে কতটুকু প্রোটিন প্রয়োজন, তা নির্ভর করবে ওই ব্যক্তির কাজের ধরন এবং খাবারের পছন্দ-অপছন্দের উপর। নির্ধারিত পরিমাণের চেয়ে বেশি প্রোটিন বেশি খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য কিংবা হজমের সমস্যা, দুই-ই হতে পারে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy