পুজোয় নতুন জামা, শাড়ি পরে মেকআপ করার সময়ে ঠোঁটে লিপস্টিকও লাগাবেন নিশ্চয়ই। কিন্তু ঠোঁট রাঙানোর জন্য যে লিপস্টিক ব্যবহার করছেন, তাতে ক্যানসারের বীজ লুকিয়ে থাকতে পারে, তা জানেন কি? আমেরিকার বার্কলে ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা বলছে, লিপস্টিকে থাকা কিছু ধাতব পদার্থ যদি শরীরের ভিতরে যায়, তবে তা থেকে ফুসফুসের ক্যানসারও হতে পারে।
তবে একই সঙ্গে গবেষণায় এ-ও বলা হচ্ছে যে, লিপস্টিক থেকে ফুসফুসের ক্যানসার হবে কি না, তা নির্ভর করে তা কী ভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে, তার উপরেও। লিপস্টিক কতটা পরিমাণে ঠোঁটে ব্যবহার করা হচ্ছে, তা লালার মাধ্যমে শরীরে যাচ্ছে কি না, যিনি ব্যবহার করছেন, তাঁর সামগ্রিক স্বাস্থ্য কেমন, তিনি সংস্থার ব্যবহারবিধি মেনে প্রসাধনী ব্যবহার করছেন কি না, এই সব কিছুর উপরেও নির্ভর করে অনেক কিছু। তবে পাশাপাশি, ক্ষতিকারক উপাদান থেকে সতর্ক হওয়াও ভাল।
লিপস্টিকে কী কী ক্ষতিকর উপাদান থাকতে পারে?
আরও পড়ুন:
১. ক্যাডমিয়াম
যে সমস্ত লিপস্টিকের রঙে হলুদ বা কমলা রঙের আধিক্য বেশি, তাতে ক্যাডমিয়াম নামের এক ধরনের ধাতু থাকতে পারে। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, ক্যাডমিয়াম ঠোঁট থেকে লালার মাধ্যমে যদি শরীরে প্রবেশ করে এবং দীর্ঘ দিন ধরে শরীরে জমতে থাকে, তবে তা থেকে ফুসফুসের ক্যানসার তো বটেই, দীর্ঘ ব্যবহারে কিডনি এবং হাড়েরও ক্ষতি হতে পারে।
২. ক্রোমিয়াম
এটিও একটি ভারী ধাতু, যা কিছু কিছু লিপস্টিকে থাকে। এই ধাতব উপাদানও ফুসফুসের ক্যানসারের কারণ হতে পারে।
৩. সিসা
সিসা স্নায়ুতন্ত্রের ক্ষতি করে বলেই জানেন অনেকে। তবে এই ভারী ধাতুও ফুসফুসের ক্ষতির কারণ হতে পারে।
৪. বেনজিন
কিছু লিপস্টিকে বেনজিনও ব্যবহার করা হয়। বেনজিন ফুসফুসের জন্য ক্ষতিকর একটি বিষাক্ত পদার্থ বলে জানাচ্ছে গবেষণা। এর থেকেও ক্যানসার হতে পারে।
আরও পড়ুন:
৫. ক্রিস্টালাইন সিলিকা
এক ধরনের খনিজ। যা লিপস্টিক, লিপ গ্লস, আই শ্যাডো এবং অন্যান্য প্রসাধনীতে ব্যবহৃত হয়। গবেষণা বলছে, এর কণা শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে শরীরে ঢুকলে তা ফুসফুসের ক্যানসারের কারণ হতে পারে। যদিও লিপস্টিকে এর উপস্থিতি থেকে সেই ঝুঁকি কম, তবু এড়িয়ে চলাই ভাল।
এ ছাড়া কিছু লিপস্টিকে ফর্মালডিহাইড এবং প্যারাবেনের মতো উপাদান থাকতে পারে। যা থেকে স্তন ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়তে পারে বলে জানাচ্ছে গবেষণা।