প্রতীকী ছবি।
শেন ওয়ার্নের মৃত্যুর পর আবারও নতুন করে মনে পড়েছিল মুম্বইয়ের অভিনেতা সিদ্ধার্থ শুক্লর কথা। কম সময়ের ব্যবধানে এমন দু’টি মৃত্যুসংবাদ হতবাক করেছিল অনেককে। এক জন সবে ৫০ পার করেছেন। অন্য জনের বয়স মাত্র ৪০। এমন মানুষদেরও হার্ট অ্যাট্যাকে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু ঘটে!
আগে অনেকের ধারণা ছিল হৃদ্রোগে আক্রান্ত হন বয়স্করাই। এক কালে সে সংখ্যাই বেশি ছিল। আর যদিও বা কম বয়সিরা হতেন হৃদ্রোগে আক্রান্ত, তবে বাঁচানো কঠিন হত না। কিন্তু দিন দিন পরিস্থিতি বদলাচ্ছে। আর সে কথাই মনে করাচ্ছে হালের গবেষণা।
সম্প্রতি চিকিৎসকদের একটি আলোচনাচক্র ‘হল মেডিকন ২০২২’-এ যোগ দিয়েছিলেন বেঙ্গালুরুর চিকিৎসক সি এন মঞ্জুনাথ। এ দেশের কর্ম সংস্কৃতি ও স্বাস্থ্যের যোগ নিয়ে আলোচনা হচ্ছিল। সে প্রসঙ্গেই তিনি সতর্ক করেন, আগামী দশ বছরের মধ্যে হার্ট অ্যাটাকে মৃত্যুর সংখ্যা কয়েক গুণ বাড়বে এ দেশে। এবং মূলত কম বয়সিরাই হবেন তার শিকার। চিকিৎসক জানান, পৃথিবী জুড়েই হৃদ্রোগে মৃত্যু বাড়ছে। তবে ২০৩০ সালের মধ্যে এ দেশের পরিস্থিতি খুবই কঠিন হতে চলেছে। বিশ্বে হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে প্রতি চারটি মৃত্যুর ঘটনার মধ্যে একটি হবে এ দেশে। এমনই দেখা যাচ্ছে হালের গবেষণায় বলে সতর্ক করেন চিকিৎসক।
বেঙ্গালুরুর ‘জয়দেব ইনস্টিটিউট অব কার্ডিয়োভাস্কুলার সায়েন্সেস অ্যান্ড রিসার্চ’-এর অধিকার্তা, চিকিৎসক মঞ্জুনাথ জানান, সেখানে নিয়মিত গবেষণা চলছে এই পরিস্থিতি কী ভাবে বদলানো যায়, তা নিয়ে। মূলত মানসিক চাপ কমানো ও সুস্থ যাপন পদ্ধতি নিয়ে গবেষণা হচ্ছে। তিনি বলেন, ‘‘এ দেশে কম বয়সি, কর্মব্যস্ত গোষ্ঠীর মধ্যেই মূলত হৃদ্রোগ বাড়তে দেখা যাচ্ছে।’’ সে প্রসঙ্গে তিনি আরও জানান, সময়ের সঙ্গে চিকিৎসকদেরও মনোভাব বদলাতে হবে। অতিমারি হৃদ্রোগের আশঙ্কা আরও খানিকটা বাড়িয়ে দিয়েছে। ফলে এমন কোনও ঘটনা দেখলে সঙ্গে সঙ্গে কী ব্যবস্থা নিতে হবে, তার জন্য প্রস্তুত থাকা জরুরি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy