কো-মর্বিডিটি বিহীন ব্যক্তিরাই সাধারণত উপসর্গহীন হন। ছবি: সংগৃহীত
করোনা-স্ফীতির এই পর্যায়ে আক্রান্ত ব্যক্তিদের একটি বড় অংশই উপসর্গহীন। অর্থাৎ আক্রান্ত ব্যক্তিদের জ্বর, কাশি, গলা ব্যথা না-ও থাকতে পারে। আবার কারও ক্ষেত্রে উপসর্গ থাকলেও তা খুবই মৃদু। করোনায় সংক্রমিত হওয়ার পরেও যাঁরা উপসর্গহীন তাঁদের আলাদা করে কোনও স্বাস্থ্যঝুঁকি আছে কি না, তা নিয়ে অনেকেই উদ্বিগ্ন। তবে উপসর্গ থাক বা না থাক সংক্রমিত যেকোনও রোগীর মাধ্যমে ছড়াতে পারে সংক্রমণ। উপসর্গ না থাকার কারণে কোনও রোগী যদি সতর্ক না হয়ে বাড়ির বাইরে যাওয়া অব্যাহত রাখেন, সেক্ষেত্রে উপসর্গহীন রোগীদের মাধ্যমে ভাইরাস ছড়ানোর আশঙ্কা বেশি।
উপসর্গহীন রোগী কারা
মূলত যাঁদের বয়স অল্প, এবং অন্যান্য শারীরিক সমস্যা নেই অর্থাৎ কো-মর্বিডিটি বিহীন ব্যক্তিরাই সাধারণত উপসর্গহীন হন।
উপসর্গহীন রোগীদের ঝুঁকি কতটা
উপসর্গহীন হলেও আক্রান্ত ব্যক্তির হঠাৎ করে কমে যেতে পারে রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা। একে হ্যাপি হাইপক্সিয়া বলে। এ ক্ষেত্রে রোগী নিজেও টের পান না যে তাঁর অক্সিজেন কমে যাচ্ছে। স্বাভাবিক জীবন যাপন করেন। তাই উপসর্গহীন রোগীদেরও পালস অক্সিমিটারের মাধ্যমে নিয়মিত রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা মাপতে হবে।
উপসর্গহীন রোগীরা কী কী করবেন না
১। উপসর্গ না থাকলেও পরিশ্রম হয় এমন কাজ থেকে বিরত থাকুন। প্রচুর জল খান, বিশ্রাম নিন এবং পুষ্টিকর খাবার খান।
২। রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা কমতে থাকলে বা হঠাৎ করে বমি, পাতলা পায়খানা, বুকে ব্যথা, পেট ব্যথা ইত্যাদি শারীরিক সমস্যা দেখা দিলে নিজে চিকিৎসা করতে যাবেন না। এই পরিস্থিতিতে দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি হওয়াই শ্রেয়।
৩। বেশির ভাগ উপসর্গহীন রোগীর তেমন কোনও ওষুধের প্রয়োজন হয় না। তাই চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া নিজে কোনও ওষুধ খাবেন না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy