নজির গড়েছেন দীপিকা পাড়ুকোন এবং আলিয়া ভট্ট। গর্ভধারণের পরেও ওজনে তেমন হেরফের দেখা যায়নি। কারণ সন্তানের জন্ম দেওয়ার আগে ও পরে নিয়মিত শরীরচর্চা করে গিয়েছেন বলিউডের দুই নায়িকা। এক দিনের জন্যেও বাদ দেননি। এই সময়ে স্বাস্থ্যকর ও পুষ্টিকর খাবার খাওয়ার পাশাপাশি টানা ন’মাস শরীরকে সুস্থ ও সক্রিয় রাখা জরুরি। কেবল গর্ভধারণের সময়কালে নয়, সন্তানের জন্ম দেওয়ার পরেও সেই রুটিন চালিয়ে যাওয়া উচিত। দীপিকা-আলিয়ার ফিটনেস প্রশিক্ষক ইয়াসমিন করাচিওয়ালা অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় দুই নায়িকার শরীরচর্চার রুটিন প্রকাশ করলেন। কাজে আসতে পারে আপনারও।
সন্তানজন্মের পর ফিট থাকার ও ওজন কমানোর জন্য দীপিকা এবং আলিয়া রোজের রুটিনে পিলাটিজ়কে অন্তর্ভুক্ত করেছিলেন। ইয়াসমিনের কথায়, “পিলাটিজ় হয়তো অনেকেই করেন অন্তঃসত্ত্বা থাকাকালীন, কিন্তু কেবল একটি জায়গায় বাকিদের চেয়ে একটু আলাদা এই দুই নায়িকা। তাঁরা শৃঙ্খলা মেনে রোজ ব্যায়াম করতেন। বাদ দিতেন না এক দিনও। দীপিকা সন্তানজন্মের পর প্রচুর পিলাটিজ় করতেন। তাঁরা আসলে নিজেদের মতো সুস্থ থাকার চেষ্টা করেছিলেন।”
দীপিকা-আলিয়ার ফিটনেস প্রশিক্ষক ইয়াসমিন করাচিওয়ালা। ছবি: সংগৃহীত।
দীপিকা বা আলিয়া, কারওরই হয়তো সেই মুহূর্তে ওজন কমানো নিয়ে ভাবনাচিন্তা ছিল না। তাঁরা কেবল চেয়েছিলেন, ফিট থাকতে। সুতরাং জানতে হবে, গর্ভাবস্থায় পিলাটিজ়ের মতো ব্যায়াম কেন উপকারী?
আরও পড়ুন:
অন্তঃসত্ত্বাকালীন অবস্থায় পিলাটিজ়ের তীব্রতা কমিয়ে দেওয়া হয়। ম্যাটের উপর ব্যায়ামগুলি করতে হয়। শরীরকে নিয়ন্ত্রণে রেখে ধীরে ধীরে নড়াচড়া করাই আসল। অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় প্রয়োজন অনুযায়ী এই ব্যায়াম সহজেই ওলটপালট করা যায়। তবে আগে থেকে চিকিৎসকের অনুমতি নিয়ে নিতে হবে। পিলাটিজ় শরীরের নমনীয়তা এবং ভারসাম্য বাড়ায়। পেলভিক ফ্লোরের মতো ব্যায়াম কোর পেশিগুলিকে শক্তিশালী করে। পিঠের ব্যথা কমায়। মেরুদণ্ডের জোর বাড়ে। গর্ভস্থ শিশুর ওজন বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আপনার শরীরের ভারসাম্য যাতে বজায় থাকে, সে দিকেও নজর রাখে এই ব্যায়াম।