পেশাগত চাপ, সম্পর্কের জটিলতা, অর্থনৈতিক ভাবে দুর্বল হয়ে পড়া, পারিবারিক অশান্তির মতো সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে অনেকেই বেছে নিচ্ছেন আত্মহত্যার পথ। জীবনের সব সমস্যার চূড়ান্ত সমাধান হিসাবে যেন মৃত্যুই হয়ে উঠছে অন্যতম মুক্তির উপায়। মানসিক অবসাদে ভুগতে ভুগতে কোথাও যেন এই সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেন মানুষ। আধুনিক যুগে ডায়াবিটিস, কোলেস্টেরলের মতোই অবসাদও ছেয়ে যাচ্ছে আরও বেশি মানুষের মধ্যে। শিশু থেকে প্রৌঢ়— যে কোনও বয়সেই মনের রোগে আক্রান্ত হতে পারে মানুষ। তবে এই সমস্যায় ভুগলে বেশির ভাগ মানুষই তা প্রকাশ করতে চায় না জনসমক্ষে। বলিউডের প্রথম সারির নায়িকা দীপিকা পাড়ুকোনকেও জীবনের একটা সময়ে মানসিক অবসাদে আক্রান্ত ছিলেন। তবে সেই নিয়ে খুব একটা লুকোছাপা করেননি তিনি। পরবর্তী কালে সংবাদমাধ্যমের সামনে বারংবারই খোলাখুলি কথা বলেছেন এই নিয়ে।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী জানিয়েছেন, ‘‘বিষণ্ণতায় ভুগতে ভুগতে এক সময় আমি আত্মহননের কথাও ভেবেছিলাম। এই সময় আমার মা আমাকে বাঁচিয়েছিলেন। আমার মা-ই বুঝতে পেরেছিলেন, আমায় বিষণ্ণতা গ্রাস করেছে।’’
অভিনেত্রী বলেন, ‘‘আমি কর্মজীবনের উচ্চতায় ছিলাম, এবং সব কিছু ঠিকঠাক চলছিল। জীবনে তেমন কোনও বড় সমস্যাও ছিল না। তবে কেন মনের মধ্যে অজানা আতঙ্ক কাজ করছিল জানি না। ঘুম থেকে উঠতে চাইতাম না। যেন মনে হত, ঘুমিয়ে থাকলে জীবনের সমস্যাগুলি থেকে পালানো সম্ভব! অনেক দিন এমনও গিয়েছে যখন আত্মহত্যার কথাও ভেবেছি। এই সমস্যার আঁচ করতে পেরেছিলেন আমার মা। তিনি আমাকে নানা ধরনের প্রশ্ন করতে শুরু করেন। প্রেম সংক্রান্ত, কাজ নিয়ে নানা প্রশ্ন করতেন মা আমাকে, যার কোনও উত্তর আমার কাছে থাকত না। তখনই মা বুঝতে পারেন, আমার মনোবিদের সাহায্যের প্রয়োজন। ভাগ্যিস মা সঠিক সময় বুঝতে পেরেছিলেন।’’