তিনি প্রাক্তন বিশ্বসুন্দরী। দেশে ও বিদেশে সকলের নজর কাড়তে পারেন তিনি। হলিউডের তারকারাও তাঁর চোখের গুণমুগ্ধ। তবে কেবল রূপে নয়, গুণেও তিনি প্রশংসা কুড়োনোর যোগ্য। তিনি বচ্চন পরিবারের পুত্রবধূ। তিনি ঐশ্বর্যা রাই বচ্চন। ৫১ বছর বয়সে কী ভাবে এমন রূপ ধরে রেখেছেন তিনি? তা ছাড়া সারা জীবন পর্দায় যেমন নৃত্যকলা, অভিনয় এবং স্টান্ট ও অ্যাকশনের প্রতিভা তিনি দেখিয়েছেন, তার জন্য প্রয়োজন নিয়মানুগ জীবনযাপন। জানতে ইচ্ছে করে কি, ঐশ্বর্যা সারা দিন কী ভাবে সময় কাটান? কী কী করেন? সবচেয়ে জরুরি, ক’টার সময় ঘুম থেকে ওঠেন তিনি?
ঐশ্বর্যার কথায়, ‘‘সারা দিন, অর্থাৎ ২৪ ঘণ্টা। সেটি গোটা বিশ্বের জন্য। কিন্তু আমাদের জন্য ৪৮ ঘণ্টাকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে খাপ খাইয়ে নিতে হয়। আমাদের জীবনে এত কিছু ঘটে চলে যে, একই ভাবে রোজ দিন কাটানো মোটেই সম্ভব নয়। তবে হ্যাঁ, যা-ই হয়ে যাক, আমার দিন শুরুর সময় বদলায় না। খুব তাড়াতাড়ি দিন শুরু হয় আমার। সাড়ে ৫টায় ঘুম থেকে উঠি। তার আগেও হতে পারে, কিন্তু পরে নয়।’’
অভিষেক বচ্চনের পত্নীর রোজনামচা যদি না-ও পাওয়া যায়, তাঁর দিন শুরুর সময়টি জেনে নেওয়া খুব দরকার। আর তাঁর কথা থেকে স্পষ্ট, ঘুম থেকে ওঠার সময়টি কখনও পিছোন না তিনি। নিশ্চয়ই নানাবিধ উপকার তিনি পেয়েছেন এ থেকে। তা হলে ভোর ভোর বিছানা ছাড়ার কী কী উপকার রয়েছে?

৫১ বছর বয়সে কী ভাবে এমন রূপ ধরে রেখেছেন তিনি? ছবি: সংগৃহীত।
১। ঘুমের মান ভাল হয় তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে উঠলে। রাতেও ঠিক সময় মতো ঘুম এসে যায়। ফলে গভীর ঘুম এবং আরইএম (র্যাপিড আই মুভমেন্ট)-এর স্তরে চলে যেতে পারে আপনার শরীর।
২। ঘুমের জন্য যে হরমোনের নিঃসরণ প্রয়োজন, অর্থাৎ মেলাটোনিন, সেটি সন্ধ্যা নামার আগে সবচেয়ে বেশি ক্ষরিত হয়। ফলে তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে, তাড়াতাড়ি উঠলে সবচেয়ে ভাল থাকে শরীর। তা ছাড়া কর্টিসলেরও ভোরেই যথাযথ ক্ষরণ ঘটে।
৩। হজমের সমস্যা থাকলে তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে উঠলে উপকার মিলতে পারে অনেকের। গভীর রাত পর্যন্ত জেগে থাকলেই মুখ চালানোর ইচ্ছে বাড়তে থাকে। আর তাতেই বদহজমের সমস্যা দেখা দেয়।
৪। তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে তাড়াতাড়ি উঠলে সারা দিন শরীরে শক্তির জোগান থাকে। আপনার শরীর নিজেকে পুনরুদ্ধার করার পর্যাপ্ত সময় পায়।