যাবতীয় অনুভূতির প্রথম সাক্ষী থাকে এই ধরনের সামাজিক মাধ্যমগুলি। ছবি: সংগৃহীত
বর্তমানে এই যান্ত্রিকতার যুগে জীবনের সব অনুভূতি পাশের মানুষটিকে জানানোর আগেই প্রকাশ পেয়ে যায় ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ, ইনস্টাগ্রামের মতো বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমগুলিতে। আনন্দ, কষ্ট, দুঃখ, বিচ্ছেদ, প্রেমে পড়া প্রভৃতি যাবতীয় অনুভূতির প্রথম সাক্ষী থাকে এই ধরনের সামাজিক মাধ্যমগুলি। অনেকেই আছেন যাঁরা শুধু অনুভূতি ভাগ করে নেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ভাগ করে নেন খাবারদাবারের ছবিও। বাড়িতে রান্না করা লোভনীয় এবং একই সঙ্গে আকর্ষণীয় খাবার হোক কিংবা রেস্তরাঁর নিয়ম আলোয় বসে তোলা দেশ বিদেশের রকমারি খাবারের ছবি সবার আগে পৌঁছচ্ছে নেটমাধ্যমগুলিতে। শুধু যে হাজার হাজার পছন্দ চিহ্নের প্রত্যাশী হয়েই এমন করছেন মানুষ তা নয়, নেটমাধ্যমে তিনি যে কতটা সক্রিয় সেটিও প্রমাণ করেন। কিন্তু ঘন ঘন ফেসবুক, ইনস্টাগ্রামে খাবারের ছবি প্রকাশ করার ফলে আদতে ক্ষতি হচ্ছে শরীরের। কী ভাবে? কী বলছে সমীক্ষা?
আমেরিকার জর্জিয়া সার্দান বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞদের করা একটি সমীক্ষা জানাচ্ছে, যে যাঁরা নেটমাধ্যমগুলিতে খাবারের ছবি দিচ্ছেন, তাঁদের ওজন বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। এর কারণ হিসাবে গবেষণায় উঠে আসছে, সাম্প্রতিককালে অধিকাংশ মোবাইল ফোনের ক্যামেরায় নানা রকম কারিকুরি করার জন্যে নির্দিষ্ট কয়েকটি ফিল্টার থাকে। এই ফিল্টারগুলির মাধ্যমে খাবারের ছবি আরও আকর্ষণীয় হয়ে ওঠে। ফলে সামনে থাকা খাবারের ছবি মোবাইলের মাধ্যমে আরও লোভনীয় ভাবে দেখতে পেয়ে বেশি খেয়ে ফেলার প্রবণতা তৈরি হয়।
সমীক্ষায় উঠে আসছে আরও একটি কারণ অধিকাংশ মানুষ খাওয়ার আগেই খাবারের ছবি তোলেন। ছবি আরও সুন্দর করে তৈরি করে ভাগ করে নিতে গিয়ে অনেকটা সময় চলে যায়। ফলে খিদের পরিমাণ চড়চড় করে বাড়তে থাকে। আর তার ফলে একসঙ্গে অনেকটা বেশি খেয়ে ফেলার আশঙ্কা থাকে। এর ফলে ওজনও বাড়তে থাকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy