রোজের কোন কোন অভ্যাস কমাতে পারে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা? ছবি: সংগৃহীত।
অনেকেই মনে করেন, বয়স্কদেরই বোধ হয় ডায়াবিটিস, কোলেস্টেরল, ইউরিক অ্যাসিডের মতো ক্রনিক সমস্যা দেখা দেয়। চিকিৎসকরা বলছেন, এখন অল্প বয়সেও উচ্চ ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যায় ভুগছেন অনেকে।
নিয়মহীন জীবনযাপন, অস্বাস্থ্যকর খাওয়াদাওয়া, প্রক্রিয়াজাত খাবার খাওয়ার মতো কিছু কারণে উচ্চ মাত্রার ইউরিক অ্যাসিড হতে পারে। রক্তে উচ্চ মাত্রার ইউরিক অ্যাসিড জমার এই সমস্যাকে চিকিৎসার পরিভাষায় বলা হয় ‘হাইপারইউরিসেমিয়া’।
প্রচুর পরিমাণে চকোলেট, তেলযুক্ত মাছ, কফি খেলে ‘হাইপারইউরিসেমিয়া’ হতে পারে। এর প্রধান লক্ষণ হাঁটুর অস্থিসন্ধিতে ব্যথা। পায়ের আঙুলে, গোড়ালি, কখনও হাত এবং কব্জিতেও ব্যথা হতে পারে। এই ধরনের উপসর্গ দেখা দিলে ফেলে না রেখে দ্রুত চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।
‘হাইপারইউরিসেমিয়া’ ধরা পড়লে রোজের খাবার থেকে বাদ দিতে হবে তেলযুক্ত মাছ, পাঁঠার মাংস, অ্যালকোহলের মতো খাবার। সেই সঙ্গে চিকিৎসকের পরামর্শ মতো চলাও জরুরি। তবে ঘরোয়া কয়েকটি উপায়েও নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারেন ‘হাইপারইউরিসেমিয়া’। রইল উপায়গুলি।
১. বেশি করে জল খান। এ ধরনের অসুখে শরীর আর্দ্র রাখা দরকার।
২. ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার বেশি করে খান। এতে শরীর সুস্থ থাকবে।
৩. বেরিজাতীয় ফল বেশি করে খান। ব্লুবেরি, স্ট্রবেরির দিয়ে শরবত বানিয়ে নিতে পারেন। নিয়ন্ত্রণে থাকবে ‘হাইপারইউরিসেমিয়া’।
৪. অফিস হোক বা বাড়িতে, অনেকেই ক্লান্তি কাটাতে কফির কাপে চুমুক দেন। ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বাড়লে কিন্তু কফি খাওয়ার উপর রাশ টানতে হবে।
৫. অধিক মাত্রায় পিউরিন (এক ধরনের জৈব যৌগ) রয়েছে, এমন খাবার এড়িয়ে চলতে হবে। রোজের ডায়েটে রেড মিট, সামুদ্রিক মাছ, মিষ্টিজাতীয় পানীয় এড়িয়ে চলুন। মদ্যপানেও লাগাম টানা জরুরি। এর বদলে বেশি করে শাকসব্জি, হোল গ্রেন, মরসুমি ফল বেশি করে খান।
৬. ইউরিক অ্যাসিড ধরা পড়লে ওজন নিয়ে বাড়তি সতর্ক থাকতে হবে। ওজন বেড়ে গেলে কিন্তু এই রোগ সহজে পিছু ছাড়ে না। তাই বুঝেশুনে পুষ্টিবিদের মরামর্শ নিয়ে ডায়েট করা ও শরীরচর্চা করা ভীষণ জরুরি।
প্রতিবেদনটি সচেতনতার উদ্দেশ্যে লেখা হয়েছে। ডায়েটে বদল আনার আগে অবশ্যই পুষ্টিবিদ ও চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy