Advertisement
E-Paper

পুজোয় যত খুশি মিষ্টি খেয়েও ওজন বাড়বে না, সুগারেও দিব্যি খাওয়া যাবে, তবে বানাতে হবে নিয়ম মেনে

পুজোর দিনে জমিয়ে মিষ্টিমুখ করুন। যত খুশি খান ক্ষীর, সন্দেশ, লাড্ডু বা হালুয়া। তবে তা বানিয়ে নিন বিশেষ পদ্ধতিতে।

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১৬:২২
Enjoy these healthy sweet recipes for Durga Puja that don\\\\\\\\\\\\\\\'t make you feel guilty

কোন কোন মিষ্টি দেদার খেলেও ওজন, সুগার, কিছুই বাড়বে না? রইল তেমনই কিছু মিষ্টির হদিস।

দুর্গাপুজো মিষ্টিমুখ ছাড়া কি আর চলে? দশমীর দিন বটেই, পজোর বাকি দিনগুলিও সকালের দিকে গরম লুচির সঙ্গে মিষ্টি ছাড়া দিনটাই নীরস হয়ে যাবে। বাজারে এখন নানা রকম সুগার ফ্রি মিষ্টি পাওয়া যায়। তবে তাতে বাঙালির মন ভরে না। মিষ্টি খাব, অথচ তাতে স্বাদ থাকবে না, তাই কি হয়! অথচ মিষ্টি বেশি খেলেই ওজন বেড়ে যাওয়ার ভয় আছে। ডায়াবিটিসের রোগীদের তো মিষ্টির দিকে তাকানোই বারণ। বাড়ির ডায়াবেটিক কাকা-জ্যেঠারা তাই লুকিয়ে এক-আধটা মিষ্টি চেখে দেখার চেষ্টা করেন। তবে এত বিধিনিষেধের বোঝা চাপিয়ে লাভ নেই। পুজোর দিনে জমিয়ে মিষ্টিমুখ করুন। যত খুশি খান ক্ষীর, সন্দেশ, লাড্ডু বা হালুয়া। তবে তা বানিয়ে নিন বিশেষ পদ্ধতিতে। সে মিষ্টি সুস্বাদু হবে, আবার খেলে রক্তে শর্করাও বাড়বে না।

মাখানার পায়েস

মাখানার পায়েস।

মাখানার পায়েস। ছবি:এআই।

প্রোটিন,ক্যালশিয়াম ও অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টে সমৃদ্ধ মাখানা দিয়ে যদি পায়েস বানান, তা খেতে হবে একদম বাঙালি বাড়ির ক্ষীরের মতোই। তবে তা হবে আরও স্বাস্থ্যকর। এই ক্ষীর খেলে সুগার বেড়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না। এর জন্য কড়াইতে এক চামচ ঘি গরম করে এক কাপ মতো মাখানা ভাল করে রোস্ট করে নিন। এর পর চামচ দিয়ে ভাল করে মাখানাগুলি ভেঙে গুঁড়িয়ে নিন। এর সঙ্গে চার কাপের মতো দুধ মিশিয়ে ভাল করে ফোটান। ১৫-২০ মিনিট কম আঁচে ফোটালে পায়েস ঘন হয়ে যাবে। স্বাদ বৃদ্ধির জন্য এতে সামান্য গুড় বা মধু মেশাতে পারেন। তবে ডায়াবিটিস থাকলে মধু দেবেন না, অল্প গুড় মেশাতে পারেন। উপর থেকে কাজু, কিশমিশ, আখরোট ছড়িয়ে পরিবেশন করুন।

খেজুর-বাদামের রোল

খেজুর-বাদামের রোল।

খেজুর-বাদামের রোল। ছবি:এআই।

খেজুর ভিটামিন, খনিজে ভরপুর। এতে থাকে প্রাকৃতিক মিষ্টত্ব। খেজুরের সঙ্গে মেশাতে হবে আখরোট, পেস্তার মতো ড্রাই ফ্রুটস। ভাল মানের খেজুর থেকে বীজ বার করে তা মিক্সিতে বেটে নিন। মিশিয়ে নিন সামান্য নুন। এ বার এর মধ্যে দিয়ে দিতে হবে কুচোনো বাদাম। সমস্ত উপকরণ মিশিয়ে রোলের আকার দিন। উপর থেকে ছড়িয়ে দিতে পারেন নারকেলের গুঁড়ো। শুধু সুগারের রোগী নন, ওজন নিয়ে যাঁরা সচেতন, তাঁরাও খেতে পারেন এই মিষ্টি।

রাঙাআলুর হালুয়া

রাঙাআলুর হালুয়া।

রাঙাআলুর হালুয়া। ছবি:এআই।

দু’টো মাঝারি মাপের রাঙাআলু সেদ্ধ করে চটকে নিন। প্যানে দু’চামচ ঘি গরম করে তাতে চটকানো রাঙাআলু দিয়ে নাড়তে থাকুন। আধ কাপের মতো দুধ দিতে পারেন। সবটা ফুটে উঠলে তাতে সামান্য গুড় মিশিয়ে নামিয়ে নিন। উপর থেকে আধ চামচ দারচিনির গুঁড়ো, ভাঙা কাজু ও আখরোট মিশিয়ে পরিবেশন করুন।

বেক্‌ড লাড্ডু

বেক্‌ড লাড্ডু।

বেক্‌ড লাড্ডু। ছবি:এআই।

প্যানে এক চামচ ঘি গরম করে দু’কাপের মতো বেসন ভাল করে নাড়াচাড়া করে নিন। স্বাদের জন্য দিন সামান্য থেঁতো করা এলাচ। এর সঙ্গে মিশিয়ে দিন শুকনো খোলায় নেড়ে নেওয়া কাজু, কাঠবাদামের কুচি। সমস্ত উপকরণ ভাল করে নাড়িয়ে নিন। এ বার গোল করে লাড্ডুর আকার দিয়ে নিলেই হবে।

Puja special sweets
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy