ভেজাল খাদ্যপণ্যে ভরে গিয়েছে বাজার। বহুবার এমন দাবি করেছে খাদ্য সুরক্ষা দফতর। দুধ, চাল, চা পাতা থেকে মশলাপাতি— কোনটি আসল, আর কোনটিতে ভেজাল মেশানো, তা চেনা দুঃসাধ্য। খাদ্য সুরক্ষা দফতরের নজরদারিকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে ভেজাল পণ্যের বিক্রি দিন দিন বেড়েই চলেছে। মরসুমি বিভিন্ন সব্জি ও ফল টাটকা দেখাতে তাতে মাখানো হচ্ছে রং, মেশানো হচ্ছে রাসায়নিক। শোনা যাচ্ছে, বাজারে নাকি ভেজাল আলুও বিক্রি হচ্ছে! রান্নায় আর যে সব্জিই লাগুক না কেন, আলু লাগবেই। প্রায় সকলের বাড়িতে আলু মজুত করাই থাকে। রোজের রান্নার অন্যতম প্রধান উপকরণই আলু। আর তাতেও নাকি মিশছে ভেজাল!
গত বছরই উত্তরপ্রদেশের কয়েকটি রাজ্যে ভেজাল আলুর খোঁজ পাওয়া গিয়েছিল। খবর শোনা গিয়েছিল, প্রায় ২১ কুইন্টালের মতো ভেজাল আলু ধরা পড়েছে। এর পরেও চোরাগোপ্তা পথে নকল আলু বিক্রি হয়েছে বাজারে, আর তা আসল মনে করে কিনেও ফেলেছেন লোকজন। ভেজাল আলু মানেই তাতে মিশে থাকবে কীটনাশক, বিপজ্জনক রাসায়নিক ও কৃত্রিম রং। এমন আলু চেনার উপায় কী?
স্পর্শ ও গঠন কেমন?
আসল আলুর ত্বক কিছুটা অমসৃণ ও খসখসে হয়। নকল বা রাসায়নিক মেশানো আলুর ত্বক মসৃণ এবং গন্ধহীন হবে।
আরও পড়ুন:
গন্ধ বিচার
মাটির সোঁদা গন্ধ পেলে বুঝবেন সেই আলু আসল। কিন্তু যদি ঝাঁঝালো রাসায়নিক বা ওষুধের মতো গন্ধ পাওয়া যায়, তা হলে বুঝতে হবে, তাতে ভেজাল রয়েছে।
ওজন কতটা
আসল আলু ওজনে কিছুটা ভারী হয়, কারণ এতে জলের পরিমাণ বেশি থাকে। নকল আলু সাধারণত হালকা হয়, কারণ সেটি কৃত্রিম উপাদান দিয়ে তৈরি হবে।
আরও পড়ুন:
রং দেখুন
আলু নিয়ে ব্লটিং পেপারে বা সুতির কাপড়ের উপর ঘষে দেখুন। আলুর গায়ে মাটি লেগে থাকে যা ঘষে ঘষে ধুতে হয়। নকল আলু হলে রং উঠতে থাকবে। কৃত্রিম রং দেখলেই চেনা যাবে।
জলের পরীক্ষা
একটি আলুর টুকরো কেটে এক গ্লাস জলে ফেলুন। আসল আলুর ঘনত্ব বেশি হওয়ার কারণে দ্রুত ডুবে যাবে। নকল বা ভেজাল আলু তুলনামূলক ভাবে হালকা হওয়ায় জলের উপরে ভেসে উঠবে।