অবসাদ থেকে হতে পারে পেটের গোলমালও। ছবি: সংগৃহীত।
ব্যস্ত জীবনে অন্যতম সঙ্গী হল অবসাদ, মনখারাপ, উদ্বেগ, মানসিক চাপ। সমস্যার উৎস মানসিক হলেও এর প্রভাব পড়ছে শরীরের উপরেও। চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, উচ্চ রক্তচাপ এমনকি ওজন কমে যাওয়ার নেপথ্যেও রয়েছে মনের অসুখ। মনখারাপ হলে তার প্রভাব কিন্তু পড়তে পারে পেটের উপরেও। কারও কারও ক্ষেত্রে এই ধরনের মানসিক চাপের কারণে পেটে ব্যথা, ডায়েরিয়া কিংবা কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যাও দেখা দিতে পারে। চিকিৎসকেরা বলছেন, এই মানসিক চাপ বা উদ্বেগ হরমোনের উপর যথেষ্ট প্রভাব ফেলে। শরীরে হরমোনগুলির ভারসাম্য নষ্ট হলে অন্ত্রের কাজকর্ম বিঘ্নিত হয়। আপনি উদ্বেগে ভুগছেন, সে কথা বুঝতে পারবেন পেটের অবস্থা দেখেই।
১. মানসিক চাপ এবং উদ্বেগ, পেটের পেশির সঙ্কোচন ও প্রসারণ করার ক্ষমতা কমিয়ে দেয়। পেটে যন্ত্রণা হয়। মাঝেমধ্যেই পেটের মধ্যে খামচে ধরার অনুভূতি হয়। পেটফাঁপা, গ্যাসের সমস্যাও হতে পারে।
২. উদ্বেগের কারণে কারও ক্ষেত্রে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দেখা যায়। আবার কারও ক্ষেত্রে ডায়েরিয়ার সমস্যাও হতে পারে। কার ক্ষেত্রে কী ধরনের পরিবর্তন আসবে, তা আগে থেকে বোঝা মুশকিল।
৩. উদ্বেগ, মানসিক চাপ সেরোটোনিন হরমোন ক্ষরণে উদ্দীপক হিসাবে কাজ করে। অতিরিক্ত পরিমাণে সেরোটোনিন হরমোন আবার অন্ত্রের স্বাভাবিক কাজকর্ম ব্যাহত করে। ফলে গা গোলানো বা বমি বমি ভাব দেখা যায় অনেকের ক্ষেত্রে।
৪. মনখারাপ হলে কেউ খাওয়াদাওয়া বন্ধ করে দেন। আবার কেউ হঠাৎ বেশি করে খেতে শুরু করেন। গ্রেলিন নামক একটি হরমোনের কলকাঠিতে খিদে পাওয়া বা না পাওয়ার গোটা বিষয়টিই নিয়ন্ত্রিত হয়। মানসিক চাপ বা উদ্বেগ বেড়ে গেলে গ্রেলিনের ভারসাম্য বিঘ্নিত হয়।
৫. মানসিক চাপ, উদ্বেগ পাকস্থলীতে অ্যাসিডের ক্ষরণও বাড়িয়ে তোলে। যা বুকজ্বালা বা অ্যাসিড রিফ্লাক্সের সমস্যা (টক ঢেকুর) বাড়িয়ে তুলতে পারে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy