হেঁশেলের কোন মশলা হতে পারে ডায়াবিটিসের দাওয়াই? ছবি: সংগৃহীত।
শরীরে এক বার ডায়াবিটিস বাসা বাঁধলে জীবনে চলে আসে হাজার রকম বিধিনিষেধ। অতিরিক্ত মাত্রায় ক্যালোরি এবং কার্বোহাইড্রেটযুক্ত খাবার খাওয়া, কম ঘুমোনো, অবসাদ, উদ্বেগজনিত বিভিন্ন সমস্যার কারণে শর্করার মাত্রা ওঠানামা করতে শুরু করে। ঘরে ঘরে সেই কারণে এখন ডায়াবেটিকদের সংখ্যা বাড়ছে। ডায়াবিটিসকে বশে রাখতে হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ওষুধ খাওয়ার পাশাপাশি খাওয়াদাওয়ার উপর নিয়ন্ত্রণ রাখতে হবে। তার সঙ্গে নিয়ম করে সকালে কিছু পানীয় খেলেও জব্দ হবে ডায়াবিটিস।
আদা: প্রদাহ কমানোর ক্ষমতা থেকে জীবাণু নাশ, সব মুশকিল আসানেই আদা ব্যবহার করা হয়। আদার রস শরীরে ইনসুলিন তৈরিতে সাহায্য করে। আর ইনসুলিনের মাত্রা ঠিক থাকলে নিয়ন্ত্রণে রাখা যায় রক্তের শর্করার মাত্রাও। ডায়াবেটিকদের জন্য সকালে উঠে আদা দেওয়া চা খাওয়া বেশ স্বাস্থ্যকর।
হলুদ: হলুদে থাকা কারকিউমিন নামক যৌগ রক্তের শর্করার মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। এ ক্ষেত্রে দুধের সঙ্গে হলুদ মিশিয়ে খেলে সবচেয়ে বেশি উপকার পাওয়া যায়।
মেথি: ডায়াবিটিস নিয়ন্ত্রণে মেথি বেশ কার্যকর। সকালে মেথি ভেজানো জল হোক বা রান্নায় মেথি ফোড়ন, যে ভাবেই মেথি ব্যবহার করবেন, রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকবে তাতেই।
দারচিনি: ডায়াবেটিকদের জন্য দারচিনি ভীষণ উপকারী। অল্প দারচিনির গুঁড়ো যদি রোজ রান্নায় ব্যবহার করা যায়, তবে শরীরে অনেক বেশি সক্রিয় থাকে ইনসুলিন হরমোন। আর তাতেই নিয়ন্ত্রণে থাকে রক্তের শর্করার মাত্রা। রোজ নিয়ম করে দারচিনি ভেজানো জল খেলেও উপকার পেতে পারেন ডায়াবেটিকরা।
জয়িত্রী: অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টে ভরপুর জয়িত্রীও রক্তের শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। চায়ের মধ্যে জয়িত্রী মিশিয়ে খেলে ডায়াবেটিক রোগীরা উপকার পাবেন।
এই প্রতিবেদনটি সচেতনতার উদ্দেশ্যে লেখা হয়েছে। ডায়েটে কোনও রকম বদল আনার আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy