ঋতুস্রাবের ২৮ দিনের নির্দিষ্ট চক্র থাকে। ছবি: সংগৃহীত।
সপ্তাহের কয়েকটি দিন বেশ অস্বস্তিতে কাটে মহিলাদের। অনেক মহিলাকেই কাবু করে দেয় ঋতুস্রাবের ভোগান্তি। পেটব্যথা, পেশিতে টান ধরা, মাথা ঘোরানো, বমি বমি ভাব— অনেক রকম উপসর্গ দেখা দেয় ঋতুস্রাবকালীন সময়ে। শরীর ভিতর থেকে দুর্বল হয়ে পড়ে। ক্লান্তি আসে, কাজে মন বসতে চায় না। ঋতুস্রাবের ২৮ দিনের নির্দিষ্ট চক্র থাকে। চিকিৎসকদের মতে নির্দিষ্ট দিনের ৭ দিন আগে-পরে ঋতুস্রাব হওয়া স্বাভাবিক। ঋতুস্রাব হতে খুব বেশি দেরি হওয়া একেবারেই ভাল না। বিভিন্ন কারণে এমনটা হতে পারে। তবে কয়েকটি খাবার আছে, যেগুলি নিয়মিত ডায়েটে রাখলে অসময়ের ঋতুস্রাবের সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে পারে।
আদা চা: বৃষ্টিতে ভিজে ঠান্ডা লাগা ও সর্দি-কাশি থেকে রেহাই পেতে আদা চায়ের জুড়ি মেলা ভার। আদায় থাকা ‘জিঞ্জেরল’ নামক উপাদান প্রদাহের সমস্যা দূর করে। আদা চা খেলে ঋতুস্রাবকালীন সময়ের অনেক সমস্যা দূর হয়।
গুড়: গুড়ে পটাশিয়াম এবং সোডিয়ামের মাত্রা বেশি। নিয়মিত গুড় খেলে অনিয়মিত ঋতুস্রাবের সমস্যা থেকে রেহাই পাওয়া সম্ভব। সেই সঙ্গে শরীর ভিতর থেকে ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে গুড়। তাই ঋতুস্রাবকালীন যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেতে গুড় উপকারী।
ভিটামিন সি-সমৃদ্ধ ফল: শরীরের যত্ন নিতে ভিটামিন সি দারুণ উপকারী। দাঁতের যত্ন থেকে রোগ প্রতিরোধ শক্তি বৃদ্ধি— ভিটামিন সি দারুণ কার্যকর। কমলালেবু, কিউয়ি, পাতিলেবু, স্ট্রবেরির মতো ফল ভিটামিন সি-এ ভরপুর। সঠিক সময়ে ঋতুস্রাব হোক, তা চাইলে রোজ নিয়ম করে ডায়েটে এই ধরনের ফল রাখুন।
হলুদ: সংক্রমণ ঠেকাতে হলুদের জুড়ি মেলা ভার। তবে ঋতুকালীন সমস্যা থেকে রেহাই পেতেও হলুদ কাজে আসে। গরম দুধে এক চামচ হলুদ মিশিয়ে নিয়মিত খেলেও সময় মতো ঋতুস্রাব হতে পারে।
দীর্ঘ দিন ধরে অনিয়মিত ঋতুস্রাবের সমস্যা চলতে থাকলে ঘরোয়া টোটকায় ভরসা না রেখে বরং চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। কেন ঋতুস্রাব দেরিতে হচ্ছে, তার কারণ বাইরে থেকে সব সময়ে বোঝা যায় না। এই সমস্যা পরবর্তী সময়ে বড় রূপ নিতে পারে, তাই এমন চলতে থাকলে অবশ্যই বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে দেখা জরুরি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy