অভিনেতা-অভিনেত্রী থেকে সাধারণ মানুষ, স্বাস্থ্যসচেতন অনেকেই দিন শুরু করেন অ্যাপ্ল সাইডার ভিনিগার মিশ্রিত জলে চুমুক দিয়ে। রক্তে কোলেস্টেরল ও শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখতেও এই পানীয়ের জুড়ি মেলা ভার। ত্বকের যত্নেও বেশ উপকারী। কিন্তু অ্যাপ্ল সাইডার ভিনিগারে অম্লের মাত্রা বেশি থাকায়, খাওয়ার ক্ষেত্রে বেশ কিছু নিয়ম মানা জরুরি। দিনে ১৫ মিলিলিটার বা বড় এক চামচের বেশি অ্যাপ্ল সাইডার ভিনিগার না খাওয়াই ভাল। সামনেই পুজো, দ্রুত ওজন কমানোর আশায় অনেকেই দিনে দু’ থেকে তিন বার এই পানীয়ে চুমুক দিচ্ছেন। এতে কিন্তু উল্টে শরীরের ক্ষতি হচ্ছে। নির্দিষ্ট মাত্রার বেশি খেলে কী হতে পারে?
১) অ্যাপ্ল সাইডার ভিনিগারে অ্যাসিডের পরিমাণ বেশি। ফলে, তা থেকে হাড়ের ক্ষতি হতে পারে। হাড় দুর্বল এবং ভঙ্গুর হয়ে যাওয়ার ঝুঁকি বাড়ে।
২) অ্যাপ্ল সাইডার ভিনিগার শরীরের বর্জ্য পদার্থ বার করে দেয়। সেগুলি প্রস্রাবের মধ্যে দিয়ে শরীরের বাইরে বেরিয়ে আসে। ঘন ঘন প্রস্রাব পায়। এর ফলে শরীরে জলশূন্যতা দেখা দিতে পারে। গরমের দিনে এই সমস্যা মারাত্মক হয়ে দাঁড়াতে পারে।
৩) অ্যাপ্ল সাইডার ভিনিগারে অম্লের ভাগ অত্যন্ত বেশি। ধারাবাহিক ভাবে এই পানীয় খাওয়ার প্রভাব পড়ে দাঁতে। অ্যাপেল সাইডার ভিনিগার দাঁতের এনামেল ক্ষয় করে।
৪) অ্যাসিড যুক্ত পানীয় বেশি পরিমাণে খেলে শরীরে পটাশিয়ামের মাত্রা হ্রাস পায়। চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় যাকে বলা হয় 'হাইপারক্যালিমিয়া'।
৫) যাঁদের হজমের সমস্যা রয়েছে, তাঁদেরও বুঝেশুনে অ্যাপ্ল সাইডার ভিনিগার খাওয়া উচিত। অতিরিক্ত মাত্রায় এটি খেলে কিন্তু হজমের সমস্যা বেড়ে যেতে পারে।