পিসিওএস-এর সমস্যায় ভুগছেন? ছবি: সংগৃহীত।
প্রতি মাসে কেউ সহ্য করেন অতিরিক্ত রক্তপাত, কারও আবার অনিয়মিত ঋতুস্রাব। এ ছাড়া পেটের অসহ্য যন্ত্রণা, শারীরিক অস্বস্তি, মুখে রোমের আধিক্য তো আছেই। জীবনধারায় পরিবর্তনই হোক কিংবা শরীরচর্চার অভাব— ইদানীং বেশির ভাগ মেয়েই পিসিওএস-এর শিকার। প্রজননে সহায়ক তিনটি হরমোন ইস্ট্রোজেন, প্রজেস্টেরন এবং টেস্টোটেরনের পরিমাণে হেরফের হলেই এই ধরনের উপসর্গ দেখা যায়। চিকিৎসা পরিভাষায় যাকে বলা হয় পলিসিস্টিক ওভারি সিন্ড্রোম। চিকিৎসকেরা বলছেন, হরমোনের মাত্রা এ দিক-ও দিক হলেই ডিম্বাশয়ের মধ্যে অ্যান্ড্রোজেন তৈরি হতে থাকে। যা পরবর্তী কালে সিস্টে পরিণত হয়। তবে, হঠাৎ যদি টেস্টোটেরন হরমোনের ক্ষরণ বেড়ে যায়, তা হলে বাইরে থেকে তা বোঝার উপায় কী?
১) অতিরিক্ত টেস্টোস্টেরন ত্বকের স্বেদগ্রন্থিগুলিকে উদ্দীপিত করে। ফলে সেবাম বা তেল ক্ষরণের পরিমাণ বেড়ে যায়। মুখের ছোট ছোট গ্রন্থিগুলোয় তেল জমতে থাকলে সেখানে ব্রণ হতেই পারে।
২) শরীরে টেস্টোস্টেরন হরমোনের পরিমাণ অতিরিক্ত হয়ে গেলে তা ডিহাইড্রোটেস্টোস্টেরন-এ রূপান্তরিত হয়ে যায়। যার ফলে অনেকেরই শরীরে, বিশেষ করে মুখে অবাঞ্ছিত রোমের আধিক্য দেখা দিতে পারে।
৩) পিসিওএস হলে অনেকেরই চুল ঝরে পড়ার পরিমাণ বেড়ে যায়। চুল পাতলা হতে থাকে। চুলের গোড়ায় থাকা ফলিক্লগুলিকে নষ্ট করতে এই টেস্টোস্টেরনের যথেষ্ট ভূমিকা রয়েছে।
৪) দেহের ওজন বেড়ে যাওয়ায়ও টেস্টোস্টেরনের হাত রয়েছে। অতিরিক্ত টেস্টোস্টেরন ইনসুলিন হরমোনের কার্যক্ষমতা নষ্ট করে। ফলে রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে। ফলে মেদ বেড়ে যাওয়া অস্বাভাবিক নয়।
৫) অতিরিক্ত টেস্টোস্টেরন নিজে তো ক্ষতিকর বটেই, সে আবার ইস্ট্রোজেন হরমোনকেও স্বাভাবিক ভাবে কাজকর্ম করতে দেয় না। ফলে অনেকেরই স্বাভাবিক ঋতুচক্র ব্যাহত হয়। ঋতুস্রাব চলাকালীন অসহ্য যন্ত্রণা, অতিরিক্ত রক্তপাত হতে পারে। আবার কারও কারও ক্ষেত্রে অনিয়মিত ঋতুস্রাবের সমস্যাও দেখা যায়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy