কয়েকটি লক্ষণ রয়েছে, যা দেখলেই বুঝতে পারবেন, রক্তচাপ কমছে কি না। ছবি: সংগৃহীত।
ঘুম থেকে উঠতেই হঠাৎ মাথা ঘুরছে। রাতে উল্টোপাল্টা কিছু খাওয়া হয়নি। কিন্তু হাত-পা এমন অবশ হয়ে যাচ্ছে যে, বিছানা ছেড়ে ওঠার উপায় নেই। জ্বর নয়, অথচ কাঁপুনি দিচ্ছে। রক্তচাপ বেশি বলে নিয়মিত ওষুধ খান। তাই ধরেই নিয়েছেন যে, রক্তচাপ বাড়েনি। কিন্তু লক্ষণগুলো তেমনই। বাড়িতে রাখা রক্তচাপ মাপার যন্ত্র দিয়ে দেখলেন, তা কমতির দিকে। চিকিৎসা পরিভাষায় যাকে বলা হয়, ‘হাইপোটেনশন’। অনেকেরই মনে করেন, যাঁদের রক্তচাপ বেশি, তাঁদের বোধ হয় ‘লো প্রেশার’ হতে পারে না। এমন ধারণা কিন্তু ঠিক নয়। আবার কমবয়সিদের মধ্যেও এই ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। কয়েকটি লক্ষণ রয়েছে, যা দেখলেই বুঝতে পারবেন, রক্তচাপ কমছে কি না।
১) মাথা ঘোরা
রক্তচাপ স্বাভাবিকের চেয়ে কমে গেলে মাথা ঘুরতে পারে। কোনও জায়গায় বসে থাকার পর উঠে দাঁড়াতে গেলে হঠাৎ মাথা হালকা লাগতে পারে। মস্তিষ্কে অক্সিজেনের ঘাটতি দেখা দিলে সাময়িক ভাবে অচৈতন্যও হয়ে পড়তে পারেন।
২) ঝাপসা দৃষ্টি
রক্তচাপ কম থাকলে গোটা শরীরে রক্ত চলাচল ব্যাহত হয়। অনেকেই চোখে ঝাপসা দেখেন। চিকিৎসকেরা বলছেন, রক্তচাপ কমে গেলে চোখের স্নায়ুও ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
৩) বমি বমি ভাব
রক্তচাপ কম থাকলে কারও গা গুলোয়, বমি বমি ভাবও লক্ষ করা যায়। রক্তের সরবরাহ ব্যাহত হলে কিংবা অক্সিজেনের ঘাটতি হলে এই ধরনের সমস্যা দেখা দিতেই পারে।
৪) কাঁপুনি
ঘোর গরমেও শীতের কাঁপুনি অনুভব করতে পারেন রক্তচাপ কমে গেলে। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ইলেক্ট্রোলাইটের ভারসাম্য বজায় রাখতে পারে, এমন পানীয় খেলে ধাতস্থ হতে পারেন।
৫) অনিয়মিত হৃদ্স্পন্দন
রক্তচাপ কমে গেলে হৃদ্স্পন্দন ওঠানামা করতে পারে। কারও দমবন্ধ লাগে। কারও আবার শ্বাসকষ্ট হয়। ফুসফুসে রক্ত চলাচল স্বাভাবিক না হলে এমনটা হতে পারে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy