মানসিক চাপ বশে রাখার ৫ উপায়। ছবি: শাটারস্টক।
মানসিক চাপ, উচ্চ রক্তচাপ, হৃদ্রোগ এবং স্ট্রোক-সহ বিভিন্ন ধরনের সংবহনতন্ত্র সংক্রান্ত সমস্যা ডেকে আনতে পারে। কর্মক্ষেত্র, সম্পর্ক বা অর্থনৈতিক পরিস্থিতি সংক্রান্ত উদ্বেগ যদি দীর্ঘমেয়াদী হয় তা হলে দেখা দিতে পারে গুরুতর সমস্যা। সাধারণত দীর্ঘস্থায়ী মানসিক চাপের ফলে মানসিক অস্থিরতা, অবসাদ মতো উপসর্গ দেখা যায়। এ ছাড়াও পেশির দুর্বলতা, ক্লান্তি, মাথা যন্ত্রণা কিংবা অনিদ্রার মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে শরীরে। মানসিক চাপ বা স্ট্রেস শরীরের বিভিন্ন অংশকে প্রভাবিত করতে পারে। বিশেষত হৃদ্যন্ত্র ও সংবহনতন্ত্রের উপর এর প্রভাব হতে পারে মারাত্মক। হৃদ্রোগের ঝুঁকি এড়াতে মানসিক চাপ কমানোর কথা বার বার বলেন চিকিৎসকেরা। হৃদ্যন্ত্র ভাল রাখতে মানসিক চাপ কী ভাবে নিয়ন্ত্রণে রাখবেন?
১) নিয়মিত শরীরচর্চা করলে শরীরে এন্ডরফিন হরমোনের মাত্রা স্বাভাবিক হয়। যা মন ভাল রাখতে সাহায্য করে এবং মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে। সপ্তাহে চেষ্টা করুন অন্তত ১৫০ মিনিট হালকা শরীরচর্চা করার। জিমে না গিয়ে জগিং, সাঁতার কাটা, সাইক্লিং করলেও ফল মিলবে।
২) প্রতি দিন অন্তত পক্ষে ৭ থেকে ৯ ঘণ্টা না ঘুমোলে মানসিক চাপ কমবে না। সারা দিনের কাজের পর শরীর এবং মনকে নতুন করে কর্মোপযোগী করে তুলতে ঘুমের প্রয়োজন আছে। তাই হৃদ্যন্ত্র ভাল রাখতে হলে ঘুমের সঙ্গে কোনও রকম আপোস চলবে না।
৩) মানসিক স্বাস্থ্য ভাল রাখতে খাবারের যথেষ্ট ভূমিকা রয়েছে। তাই প্রতি দিনের খাবারে টাটকা শাক-সব্জি, ফল, দানাশস্য রাখার চেষ্টা করুন। ক্যাফিনজাতীয় খাবার, অতিরিক্ত চিনি আছে এমন খাবার না খাওয়াই ভাল।
৪) সারা ক্ষণ কাজ এবং পরিবারের সকলের খেয়াল রাখতে গিয়ে নিজের দিকে তাকানোর সময়ে পাচ্ছেন না? এই অভ্যাসের ফলে আদতে নিজেরই ক্ষতি হচ্ছে। সকলের সব চাহিদা মেটানোর পরেও যদি একটু সময় বার করে নিজের পরিচর্যা করতে পারেন, মানসিক চাপ অনেকটাই কমবে।
৫) মোবাইল ফোন আর ইন্টারনেটের যুগে সামাজিকতা থেকে আমরা অনেকটা দূরে চলে যাচ্ছি। অবসাদ, মানসিক চাপ কাটাতে পরিবার-পরিজন, বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে বেশি করে সময় কাটাতে হবে। কোনও রকম সমস্যা হলে প্রিয়জনের সঙ্গে তা ভাগ করে নিন, স্বস্তি পাবেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy