চুলের যত্নে ‘নিরামিষ’ প্রোটিন। ছবি- সংগৃহীত
নারী-পুরুষ নির্বিশেষে জীবনচক্রের কোনও না কোনও সময় চুল পড়ার সমস্যায় ভোগেন। নানা রকম প্রসাধনী ব্যবহার করেও কোনও লাভ হয় না। চুল ঝরে পড়া রুখতে বিশেষ রাসায়নিক-নির্ভর চিকিৎসারও চল হয়েছে। কিন্তু সকলের ক্ষেত্রে যে সেই চিকিৎসা একই রকম ফল দেবে, তার কোনও মানে নেই।
তবে পুষ্টিবিদরা বলেন, বাইরে থেকে যত্নের পাশাপাশি প্রতি দিন খাদ্যতালিকায় প্রোটিন জাতীয় আমিষ খাবার রাখতেই হবে। কিন্তু যাঁরা নিরামিষ খান, তাঁরা চুলের যত্নে প্রতি দিন কী কী খেতে পারেন?
১) পালং শাক
আয়রন, ফোলিক অ্যাসিড, ভিটামিন এ, সি এবং উদ্ভিজ্জ প্রোটিনের উৎস হল পালং শাক। এ ছাড়াও এতে রয়েছে ম্যাগনেশিয়াম, পটাশিয়াম, ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, ক্যাসশিয়াম, যা চুলের ঘনত্ব বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে। প্রতি দিন খাবার পাতে পালং শাক যোগ করলে চুল পড়ার সমস্যা মিটতে পারে।
২) গাজর
অনেকেই জানেন, চোখের জন্য গাজর ভাল। কিন্তু ভিটামিন এ-র অভাবে যে মাথার ত্বকও শুষ্ক হয়ে যায়, তা জানেন কি? মাথার ত্বক শুষ্ক হয়ে গেলে চুল ঝরে পড়ার সমস্যা বাড়তে থাকে। গাজরে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ, যা মাথার ত্বকে পর্যাপ্ত পুষ্টি পৌঁছে দিয়ে চুল ঝরে পড়ার সমস্যা দূর করে।
৩) ওটস
জ়িঙ্ক, আয়রন, ওমেগা ৩, ফ্যাটি অ্যাসিড এবং পলিআনস্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিডে ভরপুর ওটস মাথার ত্বকের স্বাস্থ্যরক্ষা করে। মাথার ত্বক ভাল থাকলে চুল ঝরে পড়ার সমস্যাও থাকে না।
৪) বিভিন্ন ধরনের বাদাম
শীতকালে শুধু চুল নয় অনেকেরই ভুরু, চোখের পাতা থেকেও লোম ঝরে পড়ে। পুষ্টিবিদদের মতে, বায়োটিন, ওমেগা৩, ভিটামিন বি এবং ই-এর অভাবে এই সব সমস্যা হতেই পারে। বিভিন্ন ধরনের বাদাম খেলে এই যৌগগুলির অভাব হয় না। চুলের ফলিকলগুলিও মজবুত হয়। তাই প্রতি দিন এক মুঠো করে বাদাম খাওয়ার অভ্যাস করতেই হবে।
৫) রাঙা আলু
বিটা-ক্যারোটিনে ভরপুর রাঙা আলু শরীরে রক্তের সঙ্গে মিশে ভিটামিন এ-তে পরিণত হয়। ভিটামিন এ চুলের ঘনত্ব বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy