মিষ্টি খেয়েও রোগা হওয়া সম্ভব। ছবি: সংগৃহীত।
শরীরচর্চা না করা, দেদার বাইরের খাবার খাওয়া, জল কম খাওয়া— এগুলি হল ওজন বেড়ে যাওয়ার কারণ। তবে এই কারণগুলি ছাড়াও মিষ্টির প্রতি অগাধ প্রেম ওজন বাড়িয়ে দিতে পারে। শীতকাল হল উৎসবের মরসুম। এই সময়ে নানা উৎসব-অনুষ্ঠানে না চাইতেও মিষ্টি খাওয়া হয়ে যায়। ফলে ওজন বাড়তে থাকে। এমনিতে মিষ্টির প্রতি টান সহজে ভোলার নয়। মিষ্টি খেতে যাঁরা পছন্দ করেন, তাঁদের মিষ্টি খাওয়া থেকে বিরত রাখা সহজ নয়। কিন্তু ওজন বেড়ে যাওয়াও কাজের কথা নয়। ফলে অনেকেই বুঝতে পারেন না, মিষ্টি খাবেন না কি ওজন কমাবেন! পুষ্টিবিদরা অবশ্য জানাচ্ছেন, মিষ্টি খেয়েও রোগা হওয়া সম্ভব। তার জন্য মেনে চলতে হবে কয়েকটি নিয়ম। সেগুলি কী?
খাবার খান বুঝেশুনে
ওজন কমাবেন বলে অনেকেই ডায়েটে খালি প্রোটিন আর ফাইবারে সমৃদ্ধ খাবার রাখেন। পুষ্টিবিদরা জানাচ্ছেন, এটা ঠিক নয়। ওজন ঝরাতে প্রোটিন, ফাইবার খাওয়া জরুরি। তবে সারা ক্ষণ এগুলি খেয়ে গেলে চলবে না। মিলিয়ে-মিশিয়ে খেতে হবে। সকালে যদি প্রোটিন খান, তা হলে ফাইবার খান অন্য সময়ে। কার্বোহাইড্রেট খাওয়াও একেবারে বন্ধ করে দিলে হবে না। সেই সঙ্গে দুগ্ধজাত খাবার, ফলও বেশি করে খেতে হবে।
মেপে খান
ওজন কমানোর সময়ে কী খাচ্ছেন, তার চেয়েও কতটা খাচ্ছেন সেটা বেশি জরুরি। চাইলে দেদার খাবার খেয়েও রোগা থাকা সম্ভব। যদি পরিমাণ মতো খেতে পারেন। পরিমাণে রাশ টানা অত্যন্ত জরুরি। এমন হতে পারে যে, রোজ বিরিয়ানি খাচ্ছেন, পোলাও খাচ্ছেন, তা-ও ওজন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এটা তখনই সম্ভব, যখন পরিমাণ মতো খাবেন। মিষ্টির ক্ষেত্রেও এই নিয়ম প্রযোজ্য।
শাকসব্জি বেশি খান
ফল আর শাকসব্জিতেই লুকিয়ে রয়েছে সুস্থ শরীরের রহস্য। তাই রোজের পাতে শাকসব্জি রাখতে ভুলবেন না। সেই সঙ্গে মরসুমি ফল। এই দুইয়ের গুণেই ওজন থাকবে নিয়ন্ত্রণে। মিষ্টি খেয়েও রোগা থাকার অন্যতম কৌশল হতেই পারে এই খাদ্যাভ্যাস।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy