গরম পড়লে মাথাব্যথা, বৃষ্টি নামলে মাথায় যন্ত্রণা, অফিসে জরুরি মিটিং চলছে, দেখবেন হঠাৎ মাথায় ঢিপঢিপ করে ব্যথা শুরু হল। এই মাথাব্যথার সমস্যা যেন একচেটিয়া হয়ে গিয়েছে। আর যেমন-তেমন ব্যথা নয়, যে এক বার হল আর সেরে গেল। এক বার শুরু হলে ব্যথা কমার নামই নেই। একটা গোটা দিন তো বটেই, টানা দুই থেকে তিন দিন ধরে দেখবেন মাথাব্যথা ভোগাচ্ছে। এই ধরনের মাথাব্যথা একটানা চলতে থাকলে চিকিৎসকেরা মাইগ্রেনের ব্যথা কি না তা পরীক্ষা করে দেখেন। প্রচণ্ড মাথা ব্যথা, সঙ্গে বমি বমি ভাব কিংবা মাথার এক পাশ থেকে শুরু হয়ে গোটা মাথায় ছড়িয়ে পড়া অসম্ভব যন্ত্রণা, সঙ্গে জ্বর। ব্যথা কমাতে শুধু ওষুধ খেলে হবে না, রোজের পাতে রাখুন কিছু খাবার যা যন্ত্রণা থেকে রেহাই দেবে চটজলদি।
কী কী খেলে মাইগ্রেনের ব্যথা কমবে?
ম্যাগনেশিয়াম সমৃদ্ধ খাবার
ম্যাগনেশিয়াম আছে এমন খাবার শরীরে প্রদাহ নাশ করতে পারে। মাইগ্রেন হোক বা মাথাযন্ত্রণা, ম্যাগনেশিয়ামের ঘাটতিতে তা আরও বেড়ে যায়। পালংশাক, বাদাম ( কাঠবাদাম, কাজুবাদাম), অ্যাভোকাডো, কলা, ডার্ক চকোলেট, দানাশস্য (ব্রাউন রাইস, ওট্স) খেলে উপকার হবে।
বাদাম ও বীজ
বিভিন্ন ধরনের বাদাম এবং বীজের মধ্যে রয়েছে প্রয়োজনীয় বেশ কিছু প্রোটিন, ভিটামিন এবং খনিজ। অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টে সমৃদ্ধ এই বাদাম এবং বীজ, শারীরবৃত্তীয় কাজকর্ম পরিচালনা তো বটেই। সামগ্রিক সুস্থতার জন্যেও প্রয়োজনীয়।
আরও পড়ুন:
ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার
ফাইবার বেশি খেলে মাইগ্রেনের যন্ত্রণা ফিরে আসার সম্ভাবনা কমেছে। বেশি ফাইবার রয়েছে যে সমস্ত খাবারে, সেগুলি হল— রাগি, জোয়ার, বাজরার মতো হোলগ্রেন, গোটা ফল, শাকসব্জি, আলু, বিন্স ইত্যাদি।
ডার্ক চকোলেট
ডার্ক চকোলেট প্রদাহ কমাতে পারে। এতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট ও ম্যাগনেশিয়াম আছে। এটি খেলে শরীরে প্রদাহনাশ হয়, রক্তচাপ কমে, ইনসুলিন হরমোনের মাত্রা নিয়ন্ত্রিত হয়। অত্যধিক মানসিক চাপ হলেও ডার্ক চকোলেট খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।